গাইবান্ধা সদর উপজেলার উত্তর গিদারীর বার টিকরী গ্রামে পারিবারিক মনোমালিন্যের জের ধরে উত্তর গিদারীর শাহ কামাল কর্তৃক মৌসুমি আক্তারকে মারপিট এর অভিযোগ উঠেছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাইবান্ধা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৌসুমি আক্তার নির্যাতিত মৌসুমি আক্তার।
গাইবান্ধা সদর থানার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে-গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারীর বার টিকরী গ্রামের আরিফ মিয়ার স্ত্রী মৌসুমি আক্তার এর সাথে পাশ্ববর্তী উত্তর গিদারীর মৃত আব্দুল খালেক এর পুত্র শাহ কামাল ও আরিফ মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক মনোমালিন্য চলে আসছিল। এরই জের ধরে চলতি সালের ১৫ জুলাই বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে মৌসুমি আক্তার তার স্বামী আরিফ মিয়া সহ বাবার বাড়ি যাওয়ার পথে আগে থেকে ওত পেতে থাকা অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা মৌসুমি আক্তার এর স্বামীর পথরোধ করে শাহ কামাল, আরিফ মিয়া ও এরশাদ এর হাতে থাকা লাঠি,ছোড়া, লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করে হত্যার উদ্দেশ্যে মাটিতে ফেলে দেয়। এসময় বাদী সহ তার স্বামী জীবন বাচানোর বাদী মৌসুমী তার বাবার বাড়িতে যায়। সে সাথে বিবাদীরাও তাদের পিছনে ছুটে। তখন বাদীর মা বাদীর স্বামীকে ঘরে রেখে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে বিবাদীরা তার মায়ের শোবার ঘরের দরজা ভেংগে ঘরে করলে বাদীর মা মোছাঃ নিলুফা খাতুন বাধা দিলে বিবাদী মোঃ শাহ কামাল ও তার ভাই আরিফ মিয়া ও এরশাদ বাশের লাঠি সোটা ও ধারালো বেকি ও লোহার রড দিয়ে নিলুফা খাতুন এর মাথার বা দিকে ডাং মেরে রক্তাক্ত জখম করে। নিলুফা খাতুন চিৎকার দিলে বাদীর ভাই মিজু মিয়া এগিয়ে আসলে মঞ্জু মিয়া সিহ অন্যান্য বিবাদীরা তাকেও এলোপাথারী কিল, ঘুষি মেরে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় বাদী মৌসুমী আক্তার মাটিতে পড়ে গেলে মঞ্জু মিয়ার স্ত্রী জাহেদা বেগম ও মৃত আব্দুল খালেক স্ত্রী রাহেলা বেগম পড়নের কাপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে বিবস্ত্র করলে মৌসুমী আক্তার চিৎকার আশেপাশেই লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা বিভিন্ন রকম হুমকী প্রদর্শন করে চলে যায়। পরে আত্বীয় স্বজন সহ এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
উক্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাইবান্ধা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিত মৌসুমী আক্তার।
বিডি গাইবান্ধা/