গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আশিকুর রহমান রকিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় রকির সঙ্গে থাকা চাচাতো ভাই প্লাবন ও সোহেল নামে আরও দুইজন আহত হয়। পুলিশের ধারণা, পূর্ব কোন বিরোধের জের ধরেই রকিকে হত্যা করা হয়েছে।
রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের পুর্বপাড়ার হালিম বিড়ি ফ্যাক্টরির সামনে রকিকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে গুরুত্বর অবস্থায় রকিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। তবে আহত প্লাবন ও সোহেলকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
২০১৫ সাল থেকে আশিকুর রহমান রকি ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। আশিকুর রহমান ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের মধ্য কঞ্চিপাড়া গ্রামের মৃত্যু সৈয়দার রহমানের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রকির মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব কোন বিরোধ ও দ্বন্ধের জের ধরেই রকিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে বিস্তারিত জানানো হবে। তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িতসহ তার সহযোগিদের চিহ্নিত এবং তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছি। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষে সদর থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহর থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন রকি, প্লাবন ও সোহেল। তারা পুর্বপাড়ার হালিম বিড়ি ফ্যাক্টরির সামনে পৌঁছিলে পিছন থেকে দুটি মোটরসাকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা তাদের ছুরিকাঘাত করে। পরে গুরুত্বর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এদিকে, রকির মৃত্যুর খবরে সদর হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন দলের নেতাকর্মীসহ তার স্বজনরা। তাদের অভিযোগ, দলীয় ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অনেকের সঙ্গেই বিরোধ ছিলো রকির। সেই বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করাসহ তাদের দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবিও জানান তারা।
বিডি গাইবান্ধা ডট নিউজ / সম্পাদক