গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে করোনা স্যাম্পল (টেস্ট) জমা দিতে আসা ব্যাক্তিদের পোহাতে হচ্ছে চরম বিড়ম্বনা ও দূর্ভোগ। স্যাম্পল জমা দিতে আসা ব্যাক্তিদের নির্ধারিত ফরম পূরনের সিরিয়াল অনুযায়ী নাম ডেকে স্যাম্পল নেয়ার নিয়ম থাকলেও মানছেনা স্যাম্পল জমা নেয়া কর্তব্যরত ডাক্তাররা। সে সাথে নেগেটিভ হলে ফরমে দেয়া মোবাইল নাম্বারে কল বা ম্যাসেজ দেয়ার নিয়ম থাকলেও তারা দিচ্ছে না। এতে সঠিক সেবা ও চিকিৎসা না পেয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে করনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহে আসা রোগী ও তার স্বজনদের। রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে স্যাম্পল জমা দিতে হচ্ছে মানুষদের। ফলে চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
করোনা টেস্ট করতে আসা রোগীদের অভিযোগে জানা গেছে, সিভিল সার্জন অফিসের পশ্চিম পার্শ্বে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের সম্মুখের খোলা চত্বরে করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এখানে প্রতিদিন শত শত মানুষ রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে করোনার টেস্ট করতে লাইন করে দাঁড়িয়ে থাকে। সেখানে বসার কোন ব্যবস্থা নেই। এমনকি নেই কোন চেয়ার বেঞ্চ। ফলে সারাক্ষণই রোগীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ওখানে কোন সেডও নির্মাণ করা হয়নি। এমনকি করোনা নমুনা পরীক্ষার ফরম সংগ্রহ করে সেটি পূরণ করার মত টেবিল-চেয়ারও সেখানে রাখা হয়নি।
জানা গেছে, জেলা পরিষদ থেকে জরুরী ভিত্তিতে রোগীদের জন্য একটি সেড নির্মাণের ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হলেও এখন পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেড নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়নি। উক্ত বরাদ্দের টাকা যেন আত্নসাতের উদ্দেশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
এছাড়াও রোগীদের অভিযোগে আরও জানা গেছে, করোনা পজেটিভ হলে ২ থেকে ৩ ঘন্টার মধ্যে জরুরী ভিত্তিতে মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ দিলেও করোনার রিপোর্ট পাওয়া যায় একদিন পরে। রোগীদের কাছ থেকে টেস্টের জন্য দু’দফা স্যাম্পল নেয়া হয়। একটি হাসপাতালে তাৎক্ষনিক জরুরী পরীক্ষা করা হয় আর অপর স্যাম্পলটি রিপোর্টের জন্য পাঠানো হয় রংপুর মেডিকেলের আরডিসিআর কেন্দ্রে। পজেটিভ হলে রংপুর থেকে রোগীদের মোবাইলে দুই এক দিন পর রিপোর্ট আসে আবার নেগেটিভ হলে কোনো প্রকার ম্যাসেজ দেয়া হয়না সেসব ব্যাক্তিদের। এদিকে করোনা পজেটিভ রোগীরা চিকিৎসার পরামর্শ পেতে চরম বিড়ম্বনায় পড়ে।
এ ব্যাপারে মতামত জানতে গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল তত্তাবধায়ক ডাঃ মেহেদী হাসান এর মোবাইলে কল দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিডি গাইবান্ধা/