সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ নিশ্চিতে পঞ্চম দিনেও গাইবান্ধা জেলাজুড়েই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া ও স্বাস্থবিধি অমান্য করাসহ বিভিন্ন অপরাধে জেলায় ১৭টি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ৮০টি মামলায় শতাধিক ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ৭০ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করেছে।
সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা শহর ছাড়াও সাত উপজেলা শহর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এই জরিমানা করে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের গঠিত ১৭টি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এরমধ্যে জেলার সদর উপজেলায় ৫টি ভ্রাম্যামাণ আদালত ২৫টি মামলায় জরিমানা করেছে ১৯ হাজার টাকা। এছাড়া পলাশবাড়ি উপজেলায় ৬টি মামলায় ২ হাজার ৬০০ টাকা, গোবিন্দগঞ্জে ১০টি মামলায় ১৭ হাজার ১৫০ টাকা, ফুলছড়িতে ৪টি মামলায় ৩ হাজার ৩০০ টাকা, সাঘাটায় ২০টি মামলায় ১৪ হাজার ৪০০ টাকা, সাদুল্লাপুরে ৮টি মামলায় ৮ হাজার ৪০০ টাকা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৭টি মামলায় ৫ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এরআগে, লকডাউনের প্রথমদিন ১ জুলাই থেকে ৪ জুলাই সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মোট ৩১২টি মামলায় ২ লাখ ৫ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা হয়। এরমধ্যে প্রথম দিনে ৪৭টি মামলায় জরিমানা করা হয় ২৬ হাজার ২৫০ টাকা। এছাড়া দ্বিতীয় দিনে ৭২টি মামলায় ২৬ হাজার ৯৫০ টাকা, তৃতীয় দিন ৯০টি মামলায় ৬২ হাজার ৯০০ টাকা ও চতুর্থ দিনে ১০৩টি মামলায় জরিমানা করা হয় ৮৯ হাজার ৫০ টাকা।
প্রথমদিন থেকেই কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষে প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাসীসহ সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে দেখা গেছে সেনাবাহীনি, পুলিশ ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলাবাহীনির সদস্যদের। নির্দেশনা অমান্য করায় অভিযান ও জরিমানা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে জেলার প্রধান সড়কসহ শহর এলাকাতে যানবাহন চলাচল আর সাধারণ মানুষের চলাচল বেশি লক্ষ করা গেছে। মুখে মাক্সবিহীন চলাচল করা অধিকাংশ মানুষই মানছেন না স্বাস্থবিধি।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ৫ জুলাই বিকেল পর্যন্ত জেলায় নতুন করে আরও ৩৯ জনের দেহে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ হাজার ১১৭ জনে। জেলাং মোট মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে পাঠানো কোভিট-১৯ পরিস্থিতি সংক্রান্ত প্রেস রিলিজ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।