দেশব্যাপী চলছে কঠোর লকডাউন। কিন্তু গাইবান্ধায় গত কয়েকদিনে কঠোর লকডাউন কোনো দৃশ্য তেমন চোখে পড়েনি। মানবজীবনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিল না তেমন কঠোর লকডাউন চিত্র। এতে করে গত রবিবার থেকে ট্রাফিক পুলিশের কঠোরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিকে চার দিন ব্যাংক বন্ধ থাকার পর ৫জুলাই সোমবার ব্যাংক খোলায় অন্যদিনের থেকে শহরে যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
সোমবার সকাল থেকে সড়কে যাত্রী বোঝাই রিক্সা, অটোরিক্সা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পণ্য পরিবহনের গাড়ির চাপ লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে, লকডাউন বাস্তবায়নে গাইবান্ধা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে গাইবান্ধা জেলা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদেরকে। এছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম। অপ্রয়োজন ঘর থেকে বের হওয়া, মাস্ক না পরা, লকডাউন অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলায় জরিমানা করছে জেলা প্রশাসন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
সোমবার সকালে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম নির্দেশে ট্রাফিক ইনচার্জ নূর আলম সিদ্দিক শহরের প্রধান প্রধান মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে রাস্তায় বের হওয়া মানুষদের থামিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন করতে দেখা গেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বি সার্কেল আবু লায়েছ মোঃ ইলিয়াস জিকু, গাইবান্ধা সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান সহ অনেকে।
“এ বিষয়ে গাইবান্ধা ট্রাফিক ইনচার্জ নূর আলম সিদ্দিক” জানান- লকডাউন বাস্তবায়নে আমরা ট্রাফিক পুলিশ মাঠে কাজ করছি। প্রয়োজনে ও অপ্রয়োজনে শহরে বের হওয়া মানুষদের চলাচলের পথরোধ করে বের হওয়ার কারন জানতে চাচ্ছি। বাজার, চিকিৎসা, ব্যাংক ও সুস্থ মানুষ অসুস্থ হওয়ার ভান করা সহ বিভিন্ন অজুহাতে তারা বাসা থেকে বের হচ্ছে।
এছাড়াও শহর ঘুরে দেখা গেছে- লকডাউন বাস্তবায়নে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নিমিত্তে সকাল থেকে পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যদের টহল লক্ষ্য করা গেছে।
বিডি গাইবান্ধা/