সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিন চলছে রবিবার। কিন্তু কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে জনজীবনে কোনো প্রভাব পড়েনি সদর থানা পুলিশ। এ ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশ কঠোরতা প্রশংসনীয়। সদর থানা পুলিশ শুধু মটর সাইকেল নিয়ে শহর চক্কর দিয়েই ক্ষ্যান্ত। কঠোর লকডাউন চিত্র যেমনটা হওয়া উচিৎ তেমন কাজে মিল নাই সদর থানা পুলিশ সদস্যদের কাজে। লোক দেখানো মাত্র বিভিন্ন মোড়ে দু একটি যানবাহন গতিরোধ করাই যেন তাদের কাজ। কিন্তু গাইবান্ধা ট্রাফিক পুলিশ কঠোর লকডাউনের চিত্র বাস্তবায়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে। সড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত করতে জেলা ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা বিভিন্ন সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন।
কঠোর লকডাউন নানা অজুহাতে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষদের চলাচলে বাধা দিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন করে বাসার দিকে যেতে বাধ্য করছে ট্রাফিক পুলিশ। সে সাথে শহরে যত্রতত্রভাবে চলাচলকারী খালি রিক্সাগুলোকে প্রবেশে বাধা দিতে দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশ ইনচার্জ নূর আলম সিদ্দিক সহ তার ট্রাফিক সদস্যদের। এতে করে গত কয়েকদিনের চেয়ে কঠোর লকডাউন চিত্র কিছুটা উঠে আসে। কিন্তু গত ৪ দিনে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ এ বিষয়ে কোনো ভূমিকাই চোখে পড়েনি।
প্রকাশ, লকডাউনে জেলা ও উপজেলা শহরের মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও অলি-গলির দোকানপাট খোলা দেখা গেছে। প্রধান সড়ক ও শহরের রাস্তাঘাটে বেড়েছে রিকশা-ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল আর মানুষের সংখ্যা। শহরমুখি এসব মানুষ কোনভাবেই মানছেন না স্বাস্থবিধি। এমনকি অধিকাংশ মানুষকেই দেখা যায়নি মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে। লকডাউনের বিধি-নিষেধ ও স্বাস্থবিধি অমান্য করায় জেলাজুড়েই পরিচালিত হচ্ছে ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান আদালতে প্রতিদিনেই জরিমানা করা হলেও নানা অজুহাতে ঘর থেকে বের হচ্ছেন মানুষ। আর এই অপ্রয়োজনে শহরে মানুষের প্রবেশ ঠেকাতে গাইবান্ধা ট্রাফিক পুলিশ শহরে হকার্স মার্কেট কাছে কঠোর অবস্থান নেয়।
কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিন রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা শহরের বিভিন্ন মোড় ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মানুষকে সচেতন করতে দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সদস্যদের। পাশাপাশি শহর ও বিভিন্ন সড়কে টহল দিতে দেখা গেছে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী,বিজিবি ও র্যাব সদস্যদের।
বিডি গাইবান্ধা/