সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিন চলছে। লকডাউন বাস্তবায়নে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ ও প্রশাসন কঠোর তৎপরতা চালাচ্ছে। লকডাউনে জেলা ও উপজেলা শহরের মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও অলি-গলির দোকানপাট খোলা দেখা গেছে। প্রধান সড়ক ও শহরের রাস্তাঘাটে বেড়েছে রিকশা-ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল আর মানুষের সংখ্যা। শহরমুখি এসব মানুষ কোনভাবেই মানছেন না স্বাস্থবিধি। এমনকি অধিকাংশ মানুষকেই দেখা যায়নি মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে। লকডাউনের বিধি-নিষেধ ও স্বাস্থবিধি অমান্য করায় জেলাজুড়েই পরিচালিত হচ্ছে ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান আদালতে প্রতিদিনেই জরিমানা করা হলেও নানা অজুহাতে ঘর থেকে বের হচ্ছেন মানুষ।
কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিন রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা শহরের বিভিন্ন মোড় ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মানুষকে সচেতন করতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলাবাহীনির সদস্যদের। পাশাাপাশি শহর ও বিভিন্ন সড়কে টহল দিতে দেখা গেছে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও র্যাবের সদস্যদের। এছাড়া সড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত করতে জেলা ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরাও বিভিন্ন সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. নুরে আলম নুর।
এদিকে, করোনা বিধি নিষেধ নিশ্চিতে রবিবার দিনভর জেলা প্রশাসনের গঠিত ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ লকডাউন অমান্য করায় বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় স্বাস্থবিধি ও লকডাউন অমান্যসহ বিভিন্ন অপরাধে ৯০টি মামলায় ৬২ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকরা। গত চারদিনে জেলা শহর ছাড়াও উপজেলা শহরগুলোতে পৃথক অভিযান চালিয়েয় অন্তত দুই শতাধিক মামলায় দুই লাখ টাকার বেশি জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা উপসর্গে ১৫৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ৫৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা আক্রান্ত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২ হাজার ২৬১ জনে। জেলায় এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়ে ২৩ জনের।
বিডি গাইবান্ধা ডট নিউজ /সম্পাদক