চলমান ললকডাউনে এই বৃষ্টির দিনে বাইরে বের হতে একমাত্র ভরসা ছাতা। ছাতা ছাড়া কাজকর্ম কিংবা কর্মস্থলে বের হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই এ বৃষ্টির দিনে অনেক বেড়েছে ছাতার চাহিদা। মানুষের ভিড় যেখানে সেখানেই ছাতা। দেখলে মনে হয় যেন ছাতা মার্কা মিছিল। সব বয়সি মানুষের হাতে নানা ধরণের ছাতা শোভা পাচ্ছে। ব্যস্ত সময় কাটছে ছাতার কারিগড়দেরও। ক্রেতারা ভিড় করছেন ছাতার দোকানে। লাগাতার এই বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে ঘরে রাখা পুরনো ছাতা নিয়ে গাড়িগড়ের দোকানে ধর্না দিচ্ছেন শতশত গ্রাহক। ব্যবসায়িরা সুযোগ বুঝে বাড়িয়ে দিয়েছেন ছাতার মূল্য। গাড়িগড়রাও বাড়িয়ে দিয়েছেন ছাতা অনুযায়ী মজুরি। রোদ-বৃষ্টিতে চলতে ছাতার গুরুত্ব অপরিসীম। দুর্যোগ আবহাওয়ায় ছাতার বিকল্প নেই। গত কয়েক দিন ধরে অব্যাহত বৃষ্টি এ গুরুত্ব আরো বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে। সবার হাতে হাতে এখন ছাতা। সরেজমিনে দেখা গেছে, দেশীয় ছাতার চাহিদা বেশি। চাকরিজীবীদের চায়না ছোট ছাতা পছন্দ থাকলেও প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি সে চাহিদাকে পিছনে ফেলে দেশীয় বড় ছাতা হাতে দেখা গেছে। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত সাদুল্লাপুর বাজারে ছাতার কারিগড়দের কাছে ও দোকানগুলোতে দেখা যায় ছাতা বিক্রির হিরিক। তবে ছাতা সারা বছর বিভিন্ন দামে বিক্রি হয় বলে জানান বিক্রেতারা। কেননা বৃষ্টির পর সারা বছর রোদ থাকে। বর্তমান সময়ে এই বৃষ্টি এই রোদ। এতে সব সময় ছাতার কম বেশি চাহিদা আছে বলে জানান বিক্রেতারা বাজারে রয়েছে নানা ধরণের ছাতা। ছাতা ভাল করতে আসা হামিন্দপুর গ্রামের জয়নাল ও লালবাজারের সাকিব বলেন, দেশীয় ছাতা অত্যন্ত মজবুত গত কয়েকদিন ভারি বৃষ্টি হচ্ছে তাই বাড়ি থেকে বের হতে পাই না,নতুন ছাতা কেনার টাকাও নেই তাই পুরোনো ছাতা ভালো করার জন্য আসছি যোহর নামাজের পর এখনও হয়নি খুব ভির তাই দেড়ি হতেছে।
গ্রামের প্রবীন মানুষের কাছে ছাতা মানেই কাঠের বাঁট। এই ঘেরের ভেতরে কত শত স্মৃতি রয়েছে তাদের। দেশীয় ছাতা স্মৃতি হয়ে গিয়েছিল অনেকটা। তবে এবারের বর্ষা, ভারি বর্ষণ পাল্টে দিয়েছে অনেক কিছু। এমনটা জানালেন ছাতা ক্রেতা গয়েশপুরের কৃষক আমিন। ব্যবসায়ী সালাম জানান, গ্রামগঞ্জে ক্রেতাদের চাহিদা বেশি বড় ছাতার। শহরের চাহিদা রঙ্গিন ছাতার। যার কারণে দেশীয় ছাতায় চাহিদা আবার বাড়ছে । চায়না দেখতে ছাতা ছোট-খাটো, রঙিন। সহজে আকর্ষণ করে। ব্যবহার শেষে কয়েক ভাঁজ করে রেখে দেয়া যায়। ‘চায়না মাল’ দামে কম। আগে বৃষ্টি তেমন একটা বড় হতো না। চায়না ছাতায় মোটামুটি চালিয়ে দেয়া যেত।এবার বৃষ্টি থেকে গা বাঁচাতে চায়না ছাতায় হয়না।