গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা মফিজল হোসেনের ছেলে হাসানুর রহমানের এর বসতবাড়ীর গোয়ালঘর হতে গত ২৫ জুন শুক্রবার দিবাগত রাতে চুরি হয় একটি বাচুরসহ তিনটি গরু এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জে থানা পুলিশ ২ টি গরু উদ্ধার করে । আজ ২৮ জুন সোমবার গোবিন্দগঞ্জে উপজেলার তালুককানুপুর ইউপির কাপাসিয়া গ্রামে চোরাই গরু ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত আসামি ১। জহুরুল(২৬) পিতা ইয়াকুব এর বাড়ি হতে গ্রামবাসীর সহায়তায় গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই ইউসুফ ও এএসআই মুশফিক উক্ত বাড়ীতে তল্লাশি চালিয়ে দুটি চোরাই গরু উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের হয়েছে। উদ্ধার হওয়া গরু গুলো যে পলাশবাড়ী হতে চুরি হওয়া গরু তা নিশ্চিত করছেন গরু প্রকৃত মালিক দূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হাসানুর রহমান ।
গরু গুলো উদ্ধার হওয়ার বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম মেহেদী হাসান জানান, বর্তমানে চোরাই গরু দুটি গোবিন্দগঞ্জ থানায় হেফাজতে আছে। আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। গরু দুটির প্রকৃত মালিক সনাক্ত পূর্বক আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য যে, এ ঘটনার আসামি জহুরুল এবং তার সহযোগী আসামি ২/ ভোলামিয়া(২৯) পিতা বাবলু সাং তালুককানুপুর ও আসামি ৩ শাহজাহান(৩৫) পিতা মৃত আবুল হোসেন সাং কাপাসিয়া উভয় থানা গোবিন্দগঞ্জ সহ অজ্ঞাত কয়েকজন চোর মিলে তিনদিন আগে পলাশবাড়ী উপজেলা দূর্গাপুর গ্রাম হতে একটি বাছুরসহ তিনটি গরু চুরি করে এনে আসামি ভোলার বাড়িতে লুকিয়ে রাখে। সেখান হতে আসামি জহুরুল ও শাহজাহান গরু দুটি বিক্রয় করার জন্য গ্রামের নূর আলমের কাছে গত ২৭ জুন নিয়ে গেলে নূর আলম গরুর মালিক সংক্রান্তে কাগজ দেখতে চাইলে আসামিরা গরু দুটি কাগজের অভাবে বিক্রয় করতে ব্যর্থ হয়ে আসামি জহুরুলের বাড়িতে নিয়ে লুকিয়ে রাখে। ২ টি গরু উদ্ধার হলেও একই সাথে চুরি হওয়া বাছুরটি বর্তমানে কোথায় রয়েছে তা জানা যায়নি। আরো জানা যায় বেশ কিছুদিন হলো পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গোয়ালঘর হতে রাতের আধারে গরু চুরির ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। ধারণা করা হচ্ছে স্থানীয় চোর চক্রের সদস্যরা বহিরাগত চোরদের সহযোগীতা করে চুরি ঘটনা গুলো ঘটিয়ে চলছেন।