লকডাউন হলে দোকান খোলা নিয়ে লুকোচুরি হয়ে থাকে পুলিশ সদস্যদের সাথে ব্যবসায়ীদের। লকডাউন মানতে নারাজ ব্যাবসায়ীরা। কেননা গত কয়েক দফায় লকডাউনের কারনে প্রায় কয়েক লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে ব্যাবসায়ীদের। অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। অন্যদিকে লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ।
প্রকাশ, সরকার ঘোষিত ২৮ জুন সোমবার সকাল থেকে ১জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা অবধি ৩ দিন দিন ব্যাপী সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু লকডাউন মানতে চাচ্ছেনা ব্যাবসায়ীরা। তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বেচাকেনা করছে। আবার পুলিশ এলে দোকানের শার্টার বন্ধ করছে। এতে করে চোর পুলিশ খেলায় মত্ত তারা। অন্যদিকে সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে সোমবার ভোর থেকে মাঠে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ ও সদর থানা পুলিশ সদস্যরা।
জানা গেছে- গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম নির্দেশে লকডাউন প্রথম দিন গাইবান্ধা শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশী টহল জোরদার করেছে গাইবান্ধা ট্রাফিক ও সদর থানা পুলিশ। তারা তাদের এলার্মযুক্ত মটর সাইকেল ও পুলিশ ভ্যান দিয়ে শহরে পুলিশী টহল জোরদার করেন। এ সময় দোকানপাঠ ও মার্কেট খোলা থাকতে দেখে তাদের দোকান বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, আব্বাস উদ্দিন টাওয়ার, নিউ মার্কেট রোড, শাপলা মার্কেট, সান্দারপট্রি সহ বিভিন্ন রাস্তার দোকান খুলে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়াও শহরের ভাড়ী যানবাহন বন্ধ থাকলেও রিক্সার পাশাপাশি অটোরিক্সা চলাচল করতে দেখা গেছে। অটো রিক্সাগুলোয় সামাজিক দূরত্ব না মেনে চলাচল করায় ট্রাফিক পুলিশদের বাধার মুখে পড়তে দেখা গেছে।
বিডি গাইবান্ধা/