প্রেম মানে কোন বাধা, ভালোবাসার টানে ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে ভারতীয় তরুণী প্রীতি পণ্ডিত। করোনা থামাতে পারেনি প্রেম” ঘর বাধার স্বপ্নে ভারতীয় মেয়ে বাংলাদেশের রংপুরে অবস্থান ।
তবে স্বপ্নেই রয়ে গেলো, অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে তাকে আইনি জটিলতায় পড়তে হয়েছে। আইন অনুযায়ী প্রীতি পণ্ডিতকে সেফ হোমে রাখা হয়েছে বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার বাদী সদর রংপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম
প্রলোভনের কারণে একই সঙ্গে প্রীতির প্রেমিক
রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুষ্কুরিনী ইউনিয়নের পালিচড়া ফাজিলখাঁ নয়াপুকুর গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে মিলন মিয়া (২৪) ও তার সহযোগী একই গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান (২৫)কে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার (২৭ জুন) বিকেলে আসামিদের আদালতে নেওয়া হলে রংপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. দেলোয়ার হোসেন এ নির্দেশ প্রদান করেন।
শনিবার (২৬ জুন) বিকেলে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের নূরপুর বালাপাড়া গ্রামের লতিফুল ইসলামের বাড়ি থেকে ভারতীয় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার প্রেমিক মিলন মিয়া ও সহযোগী হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইনে মামলা হয়েছে।
১৭ বছর বয়সী ওই তরুণী প্রীতি পণ্ডিত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার কোতোয়ালি থানার ভাংত জাংলা গ্রামের মন্টু পণ্ডিতের মেয়ে।
পুলিশের দাবি, প্রতারণার মাধ্যমে অপহরণ ও পাচারের উদ্দেশ্যে ওই তরুণীকে বাংলাদেশে আনা হয়েছে।
২৪ জুন যশোরের বেনাপোল সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে প্রেমিকের খোঁজে রংপুরে আসে এই ভারতীয় তরুণীর দেখাও হয়।
তবে বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে কারাগারে নিয়ে যায়।
তবে উদ্ধার অভিযানের সময়ে লতিফুল পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পলাতক আসামিকে গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই উপপরিদর্শক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আড়াই বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছিলেন মিলন (২৪) ও তার বন্ধু হাবিবুর (২৫)। সেখানকার হুগলি জেলায় রং-মিস্ত্রির কাজ নিয়েছিলেন তারা। ওই সময়ে মিলনের সঙ্গে প্রীতি পণ্ডিত (১৭) নামের এক ভারতীয় তরুণীর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মাঝে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। পরে মিলন ও হাবিবুর দেশে ফিরে আসেন।
কিন্তু থেমে থাকেনি মিলন-প্রীতির প্রেম মোবাইল ফোন, ইমো ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে এগিয়ে চলে তাদের সম্পর্ক। এভাবে দীর্ঘ দুই বছর সম্পর্ক চলার পর অবশেষে প্রেমের টানে প্রীতি পণ্ডিত ছুটে এসেছেন বাংলাদেশের রংপুরে।
কিন্তু বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সঙ্গে প্রেমিক মিলন মিয়া ও তার বন্ধু হাবিবুর রহমানকেও থানায় নেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৭ জুন) দুপুরে ভারতীয় তরুণীসহ তিনজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
রংপুর সদর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।
বিনা পাসপোর্ট ও অনুমতি ছাড়া সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে সদর কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে জানিয়ে ওসি (তদন্ত) মনতাজুর রহমান জানান।
শনিবার অভিযান চালিয়ে ভারতীয় তরণীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার করে আজ রবিবার তিনজনকে আদালতে নেওয়া হয়েছে।