রবিবার (২০জুন) দুপুরে উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর এই পত্র জারি করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হান দোলন স্বাক্ষরিত পত্রটিতে আগামী তিন দিনের মধ্যে, গত শুক্রবার বিকেলে কঞ্চিপাড়ার ইউনিয়নের মদনের পাড়া এলাকায় সাপ দিয়ে পাতা খেলার আয়োজক কারা এবং এমন ঘটনার পিছনে দায়ী ব্যক্তিদের সরেজমিন তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গত শনিবার “ভয়াবহ করোনা কালেও সাপ দিয়ে পাতা খেলা, হাজার হাজার লোকের সমাগমে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত ” শিরোনামে নিউজ প্রচার করে “বিডিগাইবান্ধা.নিউজ”।
এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের মদনেরপাড়ার টাইগার স্পোর্টিং ক্লাবের আয়োজনে, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম সেলিম পারভেজের ছোট ভাই সোহেল পারভেজের পৃষ্ঠপোষকতায় গাইবান্ধা-বালাসি সড়ক সংলগ্ন এলাকায় সাপ দিয়ে কালোযাদুর পাতা খেলা অনুষ্ঠিত হয়। একদিকে সাপ দিয়ে কালোযাদুর আকর্ষণীয় পাতা খেলা অন্যদিকে শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় খেলা দেখতে জেলার সাত উপজেলার নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ ও শিক্ষার্থী সহ সব বয়সের ২৫-৩০ হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। ভয়াবহ করোনার এই মহা দূর্যোগে সারদেশে সংক্রামন রোধ করাসহ ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে সরকার যখন কঠোর পরিশ্রম করছে, এমন সময় হাজার হাজার লোকের সমাগমে এই পাতা খেলার আয়োজন সত্যিই বিস্ময়কর ও আশঙ্কার বলে জানান স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা। এর থেকে করোনা মহামারি রুপ নিতে পারে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।

পত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান লিটন বলেন, “পাতা খেলার বিষয়ে কারা জড়িত এবং খেলা বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে আমার বরাবর একটি পত্র এসেছে। সরেজমিনে বিষয়টি বিস্তারিত জেনে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেব”।
ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু রায়হান দোলন মুঠোফোনে বলেন, “সাপ দিয়ে পাতা খালার বিষয়ে তিন কার্যদিবসের মধ্যে বিস্তারিত জানতে চেয়ে, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।