সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, ০৭:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধার ১শ ৩টি পরিবার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর ঘর: প্রেস ব্রিফিং ও মতবিনিময় সভা গ্রাহক ভোগান্তি রোধে গাইবান্ধায় একই দিনে বিআরটিএ’র ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক কর্মসূচির উদ্বোধন পলাশবাড়ীতে ইলেকট্রিশিয়ান নুরুল ইসলাম বোবা পাগলাকে জখমের প্রতিবাদে বিশাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ  গোবিন্দগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত তাঁতীলীগের ২০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত পলাশবাড়ীতে এস এস মডেল পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে “ঔষধী উদ্ভিদের চাষাবাদ ও চাষ পরবর্তী সংগৃহীত অংশের সংরক্ষণ” শীর্ষক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত বিভিন্ন কর্মসুচির মধ্য দিয়ে গাইবান্ধায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত সারাদেশে ন্যায় গাইবান্ধা সাদুল্লাপুরে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস পালিত বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে গাইবান্ধায় পুলিশের কেক কাটা ও আলোচনা সভা

ডাঃ মোজাফ্ফর আহমেদ আই কেয়ার সেন্টার,গাইবান্ধা । ০১৭৬৭-৩০৬৭০২

পলাশবাড়ীতে সুবিধা বঞ্চিত এক বিধবা নারী ও সন্তানের আশ্রয়ের জন্য প্রয়োজন সরকারি ঘর ও জমি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন, ২০২১

পুরানা ঘরটা ভেঙ্গে গেছে কোন ভাবে জোড়াতালি দিয়ে সন্তান নিয়ে কষ্টে আছে আফিরন বেওয়া। ঝড়-বাতাসে ভয়ে রাতে ও দিন অন্যের বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নেয় । একটি সরকারী ঘর অথবা বিধবা ভাতা কার্ড পাওয়ার আশায় দারে দারে ঘুরেছেন অনেকের।কোন জনপ্রতিনিধি বা রাজনীতিবিদদের চোখে জায়গা হয়নি অসহায় পরিবারটির। অসহায় পরিবারটির নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করতে প্রয়োজনী এক টুকরো জমি একটি ঘর ।

সরেজমিনে,১৭ জুন বৃহস্পতিবার দৈনিক যুগের আলো পত্রিকার প্রতিনিধি ও গাইবান্ধা অনলাইন প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রুবেল কে এমনভাবে কথাগুলো বলছিলেন বিধবা আফিরন নামের এক মহিলা। তার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আনছার আলীর স্ত্রী।

জানা যায়,বিধবা আফিরন (৩৮)’র স্বামী আনছার আলী । প্রায় ৫ বছর আগে তার স্বামী মারা গেছেন। দাম্পত্য জীবনে দুইটি সন্তান তার। মৃত্যুকালে রেখে গেছেন মাত্র দুই শতক জমি। এছাড়াও আফিরন বেওয়ার নেই কোনো সহায়-সম্বল। স্বামীর মৃতুর পরে স্বামীর ভিটামাটিতেও স্থান হয়নি তার। সন্তান নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের পার কিশোরগাড়ী তেকানী গ্রামের পিতা ইছা হকের পিত্রালয়ে একটি ঝুপড়ী নিচে বসবাস করছেন। সেখানেই দেখা মেলে বিধবা আফিরন বেওয়ার। সন্তান নিয়ে জীবন জীবিকার তাগিদে ছুটে বেড়াচ্ছেন কখনো কৃষকের মাঠে বা অন্যের দুয়ারে। বেঁচে থাকার তাগিদে কখনো কৃষকের ফসলি জমিতে শ্রম বিক্রি,আবার কখনো অন্যের বাড়িতে করতে হয় ঝি’র কাজ। এভাবে জীবিকা নির্বাহ করে চলছেন আফিরন বেওয়া। কিন্তু বিধিবাম! ওইসব কাজের জন্যও কদর কমেছে তার। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে আফিরনকে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ওই বিধবার একমাত্র শোবার ঘরটিও জীর্ণসির্ণ অবস্থা। ছিদ্র টিনের চালায় লাগানো হয়েছে পলিথিন ও ট্রিপল। দিনের বেলায় বেড়ার ফুটো দিয়ে দেখা যায় সুর্য্যের আলো। রাতে চালার উপরে দিয়ে নজরকাড়ে আসমানের তারা। জোড়াতালি এ ভাঙা ঘরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে চলছেন সন্তানসহ আফিরন। এক মুঠো অন্নের যোগানে সারাদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে রাতে ঠিকভাবে ঘুমাবেন কিন্ত চোখে আসে না ঘুম। ঝড়-বৃষ্টির আতঙ্কে একাকী নির্ঘুম রাত কাটে তার। বর্ষাকালে আকাশের মেঘ দেখলে দৌঁড় দিতে হয় অন্যের বাড়িতে। আর শীতকালে কনকনে বাতাস আর কুয়াশায় ভিজে যায় বিছানাপত্র। নানা প্রতিকুলতার মধ্যে ঝুঁকিপুর্ণ এ ঘরে বসবাসের কারণে বিভিন্ন রোগ বাসা বেঁধেছে আফিরনসহ সন্তানদের শরীরে। এসব রোগ নিরাময়ে নিয়মিত ওষুধ খাবেন,এমন সামর্থও নেই তার। একেবারই জীবনযুদ্ধে পরাজিত হয়ে কোনোমতে বেঁচে রয়েছে ওই ভাঙা ঘরটিতে। সরকারি সুবিধাবঞ্চিত এই বিধবা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ ঘরেই একাকী বসাবাস করে চলছেন। এখন মৃত্যুর আগে সন্তানদের নিয়ে সরকারি বরাদ্দের একটি পাকাঘরে ঘুবাবেন,এমনটাই আশা করছেন তিনি।

স্থানীয় একাধিক সচেতন ব্যক্তি আফিরন এর দুর্দশার সত্যতা স্বীকার করে যুগের আলোর প্রতিনিধিকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহতী উদ্যোগ গৃহহীনদের পুর্নবাসন কল্পে পলাশবাড়ী উপজেলায় ‘জমি আছে,ঘর নেই’প্রকল্প বাস্তবায়ধীন রয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় আফিরন পরিবারকে পুর্নবাসন করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে অশ্র শিক্ত চোখে বিধবা আফিরন বলেন,সরকারি বরাদ্দে ঘর পাবার জন্যে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও,কাগজপত্র জমা নেয়নি কেউই। তাই প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে একটি ঘর স্থাপন করে দিতেন,তাহলে হয়তো সন্তানদের নিয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারতাম।

কিশোরগাড়ী ইউপি পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিন্টু ওই বিধবার জরাজীর্ণ ঘরের সত্যতা স্বীকার করে যুগের আলো প্রতিনিধিকে জানান, ‘জমি আছে, ঘর নেই’প্রকল্পে সুবিধাভোগিদের তথ্য ইতোমধ্যে অনলাইন করা হয়েছে। সেই সময়ে আফিরন বাড়িতে ছিলেন না। এ কারণে তার নামটি অনলাইন করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে দ্রুত সরকারি ভাবে বাসস্থান সহায়তা প্রদানে উপজেলা প্রশাসন,জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল।

Print Friendly, PDF & Email

যমুনা প্লাজা,গাইবান্ধা -01740569856

জিনিয়াস কিন্ডার গার্টেন এন্ড স্কুল ও জিনিয়াস এডুকেয়ার

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫১ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:১০ অপরাহ্ণ
  • ১৬:২৭ অপরাহ্ণ
  • ১৮:১৩ অপরাহ্ণ
  • ১৯:২৬ অপরাহ্ণ
  • ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ
bdgaibandha.news©2020 All rights reserved
themesba-lates1749691102