গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীর থানা অফিসার ইনচার্জ ওসির উপস্থিতিতে জমিজমার দ্বন্দ নিরসন করার পরে ঘটনাস্থল হতে ওসি চলে যাওয়ার পর তৃতীয় পক্ষের সাথে আবারো দ্বন্দ লেগেছে অসহায় বেবী বেগমের। পলাশবাড়ী উপজেলা কিশোরগাড়ীর ভেগীপাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে জেনারুল আহম্মেদ ঠান্ডার নেতৃত্বে ও প্রকাশ্যে ইন্ধনে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইজার ও নুরুগং এর বিরুদ্ধে অসহায় এক নারীর পত্রিক সুত্রে পাওয়া জমির প্রায় ২৫ মন আধা পাকা ধান জোড় পুর্বক কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে মামলা হওয়ার পর। এবার উক্ত জমি জবর দখল করার চেষ্টা ও প্রাননাশের উদ্দেশ্য মারধর করা হয়েছে ভুক্তভোগী উক্ত মামলার বাদী বেবী বেগম কে । অসহায় নারীর পত্রিক সম্পদ ও জীবন ব্যাপক হুমকিতে ন্যায় বিচার দাবী করেছেন ভুক্তভোগী।
সারাদেশে যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি নির্দেশে কৃষকের ফসল ঘরে তুলে দিতে দলীয় নেতাকর্মীরা কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছেন। সেখানে পলাশবাড়ীর প্রত্যন্ত গ্রামীন অঞ্চলে দলীয় ও পেশাশক্তির বলে ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে অসহায় বেবী বেগমের পত্রিক সূত্রে পাওয়া সত্যপিরের সম্পতিতে রোপনকৃত আধা পাকা ধান কেটে নিয়ে যায়। অসহায় নারী কোন আকুতি মিনতি ভাড়াটিয়া লোকজনের মনে গলেনি তারা ধান জোড় পূর্বক কেটে নিয়ে যান। এবার উক্ত জমি জবর দখল করার লক্ষে মূল মালিক অসহায় নারীর প্রানহানির চেষ্টায় মারধর করার খবর পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলা কিশোরগাড়ী মৌজার জেএল নং-১ খতিয়ান নং- ১৭৫,দাগ নং-২৩০৩ জমি মোট ২৮ শতাংশ নালিশী জমিতে গত ২৫ এপ্রিল রবিবার সকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয়রা জানান, এ জমিতে ধান রোপন করেন বেবী বেগম। দীঘ দিন হলো অন্যের দখলে থাকা জমিটি গতবার থানা পুলিশের সহযোগীতায় উদ্ধার করে বেবী বেগম এরপর হতে সে ভোগদখল করে আসছে এবং উক্ত ধান রোপন করেন। ২৫ এপ্রিল সকালে ২০ হতে ২৫ ভাড়াটিয়া লোকজন লাঠি সোটা,দেশীয় ধারালো অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে জমির ধান কেটে নিয়ে যায়। অত্র এলাকার সেচ মালিক জানান, তার নিকট হতে সেচ নেন বেবী বেগম তিনি এ জমির বৈধ মালিক। তবে একটি গং অসহায় এ নারীর পত্রিক সূত্রে পাওয়া সম্পতি জোড় পূর্বক দখল করে ভোগ করছেন একটি চক্র। যাদের শক্তি ও অর্থ দুটোই আছে আর আছে ব্যাপক ক্ষমতা বিধায় অসহায় এ নারী কোথাও কোন সহযোগীতা পাচ্ছে না। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বেবী বেগম বাদি হয়ে জেনারুল ইসলাম ঠান্ডাসহ ১৫ জন ব্যক্তির নামে ২৫ এপ্রিল রবিবার রাতে পলাশবাড়ী থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। এ এজাহার সূত্রে আরো জানা যায়, উক্ত নারী সমপ্তি জোড় পূর্বক ভোগ ও আত্মসাৎ করতে তার সৎ চাচা সহ অভিযুক্ত গং উক্ত অসহায় নারীর ক্ষতিসাধন ও প্রানহানি ঘটনোর হুমকি ধামকি চালিয়ে যাচ্ছেন। এমতবস্থায় উক্ত গং এর ভয়ে বেবী বেগম ও তার পরিবার ব্যাপক অনিরাপত্তায় জীবন যাপন করছেন। এঘটনায় মামলা দায়ের পর আবারো আজ ১৭ জুন বৃহস্পতিবার উক্ত জমি জবর দখলের ও ভুক্তভোগীর প্রাননাশের উদ্দেশ্য মারধর করে। এর আগে এ ঘটনাটি পলাশবাড়ী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান সরেজমিনে গিয়ে উভয় পক্ষে মাঝে সুষ্ঠু সমাধান করে দেওয়ার পরেও আবারো দ্বিতীয় পক্ষের ইন্ধনে তৃতীয় পক্ষের লোকজন অসহায় নারী বেবী বেগম কে হত্যার উদ্দেশ্যে আবারো মারধর করেছে । বর্তমানে অসহায় নারী বিথী বেগম পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এবিষয়ে পলাশবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রথম পক্ষ ও দ্বিতীয় পক্ষের মধ্যে চলমান দ্বন্দের সমাধান করা হয় । তবে তৃতীয় পক্ষের সাথে যদি আবারো কোন দ্বন্দ কোলহ হয়ে থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।