ন্যাচরে; ন্যাচরে বেশি দূর যাবার পাই নাই। দুনিয়াটা ভাল করি দেখপের পাই নাই। এখন এনা দুনিয়াটা দেখপের পামো। গাড়িখেন নিয়ে এদিক; ওদিক ঘুরি বেড়ামো।
কথাগুলো বলছিলেন, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের উত্তর দামোদরপুর গ্রামের বিকলাঙ্গ জাহিদুল ইসলাম।
দীর্ঘদিন ধরে জাহিদুল ইসলামের দুই পা ও এক হাত বিকলাঙ্গ। হাতের উপর ভর করেই চলাফেরা তার। নেই মাথা গোঁজার ঠাই। কোনমতে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছেন তিনি। বিকলাঙ্গ হওয়ায় কোন কাজ কর্ম করতে পারেন না জাহিদুল।
জাহিদুলের মতোই তার মা ছামছুন্নাহার বেগমও একজন শ্রবণপ্রতিবন্ধী। বাসযোগ্য ঘর না থাকায় তাদের রাত কাটে গোয়াল ঘরে; গবাদিপশুর সঙ্গে। সে ঘরটিও ভাঙা; টিনে ধরেছে মরিচা। ঘরটির কোথাও জোড়াতালির টিন; আবার কোথাও পাটকাঠির বেড়া। কোথাও সুপারি গাছের ছোবলা।
জাহিদুল ইসলাম হাতের উপর ভর করে চলাফেরা করেন। এ নিয়ে ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করেছিলাম। এটা দেখে পশ্চিম দামোদরপুর গ্রামের গার্মেন্টসকর্মী মনিরুজ্জামান সুমন নামে এক যুবক তাকে একটি হুইলচেয়ার উপহার দেন। সেই সাথে তাকে প্যান্ট ও টি-শার্ট দিয়েছেন তিনি।
শনিবার বিকেলে সুমনের পাঠানো হুইলচেয়ার ও পোষাক জাহিদুলের কাছে পৌঁছে দেন তার মা মনজুয়ারা বেগম রেবা। সঙ্গে ছিলেন ভাগিনা সবুজ মাহমুদ ও ভাতিজা অনিক সিদ্দিকী হৃদয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দামোদরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মতিউর রহমান, নজরুল ইসলাম ও ফয়সাল আহমেদ।