গাইবান্ধায় আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের হরতাল বিরোধী মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্যবসায়ী হাসান আলী হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার এবং সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) অপসারণসহ চার দফা দাবিতে গাইবান্ধায় বৃহস্পতিবার ‘হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ’র ডাকা অর্ধদিবস হরতালের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ।
১০ জুন বহস্পতিবার হরতালের প্রতিবাদ ও প্রহসনের হরতাল প্রত্যাখান করে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে তারা প্রেসক্লাব গাইবান্ধায় প্রেস বিফ্রিং করে। প্রজন্ম লীগ গাইবান্ধা জেলা কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নুরুল আমিন পাপুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হরতালবিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান বাবু, কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আহসান হাবিব নাহিদ, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আল ইমরান, যুগ্ম সাধারণ সমম্পাদক শামছুল হক সজিব, মোস্তাফিজুর রহমান পলাশ, সহ-সম্পাদক সোহেল সরকার, আব্দুল লতিফ, প্রচার সম্পাদক আদিত্য আদনান সোহেল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহেরুন্নাহার মালা, সদর উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি এম.এ সাদি পুলক, সাধারণ সম্পাদক মো. রাখু প্রধান, মনির, মাহি, অনিক প্রমুখ।
উউল্লেখ্য, ব্যবসায়ী হাসান আলী হত্যা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও প্রেস বিফ্রিংয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, একটি মহল হাসান হত্যার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে নানা অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই মহলটি হরতাল আহবান করে গরীবের পেটে লাথি মেরেছে। তারা হাসান হত্যার বিচারের দাবিতে গাইবান্ধার সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করবেন বলে জানান।
সুদের টাকা লেনদেনের জেরে গত ৫ মার্চ শহরের জুতা ব্যবসায়ী হাসান আলীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে আটক রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত উপ-দফতর সম্পাদক মাসুদ রানা। তাকে উদ্ধারের জন্য ১৫ মার্চ সদর থানায় অভিযোগ করেন হাসানের স্ত্রী বিথী বেগম। পরে পুলিশ মাসুদ রানার বাড়ি থেকে হাসানকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু থানা থেকে হাসানকে আবারও মাসুদের জিম্মায় দেয় পুলিশ। এরপর গত ১০ এপ্রিল মাসুদের বাড়ি থেকে হাসানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত হাসান আলী শহরের থানাপাড়া এলাকার মৃত হজরত আলীর ছেলে এবং আফজাল সুজ গাইবান্ধা শাখার সাবেক মালিক। লাশ উদ্ধারের পরপরই পুলিশ মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করে। এ নিয়ে নিহতের স্ত্রী বীথি বেগম সদর থানায় মাসুদ রানাসহ তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মাসুদ রানা কারাগারে থাকলেও অপর দুই আসামিকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।