গাইবান্ধায় ব্যবসায়ী হাসান আলী হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও সদর থানার ওসির অপসারণসহ চার দফা বাস্তবায়নের দাবিতে শহর এলাকায় আধাবেলা হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত আধাবেলার এই হরতালের ডাক দেয় হাসান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গড়ে ওঠা ‘হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ’।
হরতালের সমর্থনে শহরের ট্রাফিক মোড়, সার্কুলার রোড ও রেলগেট এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করেন হরতাল পালনকারীরা। এছাড়া শহরের ডিবি রোডের ট্রাফিক মোড়ে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এসময় হাসান হত্যায় জড়িত সব আসামিদের গ্রেফতার, সদর থানার ওসি মাহাফুজার রহমানের অপসারণসহ পরির্দশক মজিবুর রহমান ও এএসআই মোশাররফ হোসেনকে বিচারের মুখোমুখী করা, হাসান হত্যার তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন এবং জেলায় দাদন ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিও জানান তারা।
হরতাল চলাকালে সকাল থেকে শহরের মার্কেট, দোকানপাটসহ সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। শহরের রাস্তাগুলোতে সীমিত আকারে চলাচল করে ছোট যানবাহন। হরতালে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা ছিলো। তবে শেষ পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত : গত ১০ এপ্রিল জেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত উপ দফতর সম্পাদক মাসুদ রানার বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী হাসান আলীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুদের টাকা লেনদেনের জেরে গত ৫ মার্চ হাসান আলীকে তুলে নিয়ে নিজ বাড়িতে আটকে রাখে শারীরিক নির্যাতন চালায় মাসুদ রানা। পরিবারের অভিযোগের পর মাসুদের বাড়ি থেকে হাসানকে উদ্ধার করে থানায় নেয় পুলিশ। কিন্তু থানা থেকে আবারও তাকে মাসুদের জিম্মায় দেয়া হয় বলে অভিযোগ স্বজনদের।
ঘটনার পর পরই স্থানীয়রা মাসুদ রানাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় হাসানের স্ত্রী বিথী বেগম বাদি হয়ে সদর থানায় তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করলেও পুলিশের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ করেন নিহতের স্বজনরা। বর্তমানে মামলার প্রধান অভিযুক্ত মাসুদ রানা কারাগারে থাকলেও পলাতক দুই আসামি।
বিডি গাইবান্ধা ডট নিউজ /সম্পাদক