ব্যবসায়ী হাসান আলী হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও সদর থানার ওসি’র অপসারণসহ ৪ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে গাইবান্ধা জেলা শহরে চলছে আধাবেলার হরতাল।

‘হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চে’র ডাকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই হরতাল চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
হরতালের সমর্থনে শহরের মার্কেট, দোকানপাট ও সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা। শহরের রাস্তাগুলোতে সীমিত আকারে রিক্সা-ভ্যান চলতে দেখা গেছে। তবে ভারি কোন যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। এতে শহরে দুর-দুরান্ত থেকে আসা মানুষরা ভোগান্তিতে পড়েন।
সকাল থেকে ট্রাফিক মোড়, সার্কুলার রোড় ও রেলগেট এলাকায় হরতাল সমর্থক ‘হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চে’র নেতৃবৃন্দরা খন্ড খন্ড বিক্ষোভ মিছিলসহ পিকেটিং করে। এছাড়া শহরের ডিবি রোড়ের ১ নং ট্রাফিক মোড়ে টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
পিকেটিং ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয় হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চের সন্বয়ক আমিনুল ইসলাম গোলাপ, জেলা বার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সভাপতি মিহির ঘোষ, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ওয়াজিউর রহমান রাফেল, জাহাঙ্গীর কবির তনু ও নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পীসহ আরো অনেকে।
এদিকে, হরতালে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাফুজার রহমান।
উল্লেখ্য, সুদের টাকা লেনদেন জেরে গত ৫ মার্চ শহরের জুতা ব্যবসায়ী হাসান আলীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে আটক রাখে জেলা আ’লীগের বাহিস্কৃত উপদপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানা। তাকে উদ্ধারের জন্য ১৫ মার্চ সদর থানায় অভিযোগ করেন হাসানের স্ত্রী বিথী বেগম। পরে পুলিশ মাসুদ রানার বাড়ি থেকে হাসানকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু থানা থেকে হাসানকে আবারও মাসুদের জিম্মায় দেয় পুলিশ।
এরপর গত ১০ এপ্রিল মাসুদের বাড়ি থেকে হাসানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মাসুদ রানাসহ তিনজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করে হাসানের পরিবার। মাসুদ রানা কারাগারে থাকলেও অপর দুই আসামিকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ