গাইবান্ধা শহরের ফোরলেন রাস্তা নির্মানে ডিবি রোডের ১নং ট্রাফিক মোড় থেকে পৌর পার্ক পর্যন্ত পাকা রাস্তা মেরামতে ধুলাবালি ও কাদা মাটি ঠিকমতো পরিস্কার না করে এসবের উপরে ফেলছে পিচ। সে সাথে নিম্নমানের পিচ ও বিটুমিন দিয়ে ফোরলেনের রাস্তা নির্মান করছে অসাধু ঠিকাদার। ফলে রাস্তার স্থায়িত্ব ও গুনগত মান নষ্ট হচ্ছে। এতে করে রাস্তার স্থায়িত্ব নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সরকারের লোকসান হবে।
প্রকাশ- গাইবান্ধা শহরের ফোরলেন রাস্তা নির্মানে ডিবি রোডের ১নং ট্রাফিক মোড় থেকে পৌর পার্ক পর্যন্ত পিচঢালাইয়ের কাজে নিম্নমানের পিচ ও বিটুমিন ব্যবহার করায় বেশির ভাগ সড়কই খানা-খন্দে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সড়কে কার্পেটিং ও ইট উঠে বিভিন্ন স্থানে বিশাল গর্ত তৈরি হয়। ফলে এসব সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করে।
প্রায়ই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। পাশাপাশি কিছুদিন পরপরই রক্ষণাবেক্ষণ করতে গিয়ে অপচয় হচ্ছে সরকারি অর্থের।
কিছু সচেতন মহল জানান- নিম্নমানের পিচ ও বিটুমিন দিয়ে ফোরলেনের রাস্তা নির্মান করছে ঠিকাদার। পিচে ডিজেল না দিয়ে কেরোসিন দিচ্ছে। এতে করে নিম্নমানের হচ্ছে রাস্তা। ফলে রাস্তার স্থায়িত্ব শক্তিশালী হচ্ছে না। অল্পকদিনে রাস্তার পিচ কার্পেটিং উঠে যাবে। এতে করে জনগন যেমন ভুগবে। তেমনি সরকারের টাকা লোকসান হবে।
সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করায় এর স্থায়িত্ব কম হয়। বৃষ্টির পানি লাগলেই পিচ চল্টা (খানিকটা অংশ) ধরে উঠে যায়। আমদানি করা বিটুমিনের গুণগত মান যথাযথ না হওয়ায় সড়কের স্থায়িত্ব থাকছে না।
জানা গেছে , দেশে টেকসই নির্মাণ কাজের জন্য ৬০-৭০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু নজরদারি না থাকায় নিম্নমানের বিটুমিনও আমদানি হচ্ছে। আর কম টাকায় এসব বিটুমিন কিনে ব্যবহার করছেন ঠিকাদাররা। তবে উন্নত মানের বিটুমিন ব্যবহার করলে সড়কের স্থায়িত্ব বাড়বে। মানুষের ভোগান্তি কমার সাথে সরকারের অর্থ সাশ্রয় হবে।
সচেতন ও ভুক্তভোগী মহল এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান সাইডে ইঞ্জিনিয়ার রয়েছে। আমি বিষয়টি দেখছি।
বিডি গাইবান্ধা/