৫ থেকে ১৯ জুন ২১ পর্যন্ত দুই সপ্তাহের কর্মদিবস সমূহের জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে গাইবান্ধা জেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের ১দিনের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লাইন ডাইরেক্টর এন,এন,এস ঢাকার মহাখালী বাস্তবায়নে ও সিভিল সার্জন গাইবান্ধার আয়োজন বুধবার গাইবান্ধা সিভিল সার্জন সম্মেলন কক্ষে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- সিভিল সার্জন ডাঃ আঃ মঃ আখতারুজ্জামান।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সভাপতি কে এম রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সাবু, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ হাফিজুর রহমান, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান, দৈনিক মানবকনঠ পত্রিকার গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি আব্দুস ছাত্তার প্রমুখ।
এ সময় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
৫ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত সপ্তাহের ৪দিন শহরের কেন্দ্রগুলোতে ৬থেকে ৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাউয়ান হবে। যে কোনো কেন্দ্রে অভিভাবকরা তার সন্তানকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাউয়াতে পারবে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা সহ জেলার ৭টি উপজেলায় ২হাজার ৩৩টি কেন্দ্রে মোট ৩লাখ ৩৬ হাজার ৯শ ৮২ টি জন শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাউয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩৪ হাজার ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ৩লাখ ২হাজার ৬শ৮২ জনকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাউয়ানো হবে। ৭টি থানায় ৪হাজার ৬৬ জন স্বেচ্ছাসেবক সহ ২শ৬১ জন সুপারভাইজার মাঠে কাজ করবেন।
বক্তারা বলেন- ভিটামিন-এ অভাবে রাতকানা রোগ হয়। কর্নিয়া সিরোসিস ক্ষতি হয়। বাচ্চাদের ডায়েরি সহ বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়। সে সাথে মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরনে গর্ভবতী এং প্রসুতি মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমানে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ প্রানীজ খাবার ( মাছ, মাংস,ডিম, দুধ কলিজা ও উদ্ভিদ খাবার হলুদ, ফলমুল ও রঙ্গিন শাকসবজী খেতে দিতে হবে।
তারা আরো বলেন- সপ্তাহের ৪দিন কেন্দ্রগুলোতে ভিটামিন-এ প্লাস খাউয়ান হবে। বাকি দিন ইপিআই কেন্দ্রগুলোতে। ক্যাম্পেইন শেষ হওয়ার পর বাদ পড়ে যাওয়া শিশুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাউয়াবে।
বিডি গাইবান্ধা/