বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ও দূর্বার নেটওয়ার্ক নারী পক্ষ যৌথ উদ্দোগে গাইবান্ধায় আপোষ মিমাংসার নিস্পত্তি সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে-গাইবান্ধা শহরের মধ্য ধানঘড়ার আব্দুল মান্নান ও মোছাঃ ছকিনা বেগম এর কন্যা মোছাঃ সালেহা বেগম এর সহিত দীর্ঘ ১১ বছর আগে সদর এর পশ্চিম ফলিয়া গ্রামের মৃত হেলাল মিস্ত্রীর পুত্র সবুজ মিয়ার বিবাহ হয়। বিবাহের পর ঘর সংসার করা কালে তারা দু সন্তানের জনক ও জননী হন। সালেহা বেগম এর স্বামী সবুজ মিয়ার ঢাকায় রাজ মিস্ত্রির কাজ করে। এ সময় মহিলা এক লেবারের সাথে সবুজ মিয়ার আচার আচরণ খারাপ দেখলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সালেহা। এসময় সবুজ মিয়া সংসার করবেনা বলে সিদ্ধান্ত নেয় এবং তার স্ত্রী সালেহা বেগমকে মারধর ও গালিগালাজ করে বাসা থেকে বের করে দেয়। এতে করে সালেহা বেগম তার শ্বশুরবাড়ি ( সবুজ মিয়া)র বাসায় চলে আসে এবং জানতে পারে সবুজ ঐ লেবার মেয়েকে বিয়ে করেছে। ফলে পরিবারে কলহ সৃষ্টি হলে সালেহা বেগম দূর্বার নেটওয়ার্ক নারী পক্ষসংগঠনের কাছে অভিযোগ করলে দূর্বার নেটওয়ার্ক নারী পক্ষ ও শহরের সমবায় মাকেটস্থ বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সদর উপজেলা শাখার যোথ উদ্দোগে দীর্ঘ আলোচনার পর আপোষ মিমাংসা ও পারিবারিক সমস্যার নিস্পত্তি ঘটে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দূর্বার নেটওয়ার্ক নারী পক্ষ রংপুর অঞ্চলের সম্পাদক মাজেদা খাতুন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি নাজমা বেগম, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফারহান শেখ, মানবাধিকার কর্মী সঞ্জয় সাহা, বোয়ালি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা রাজিব মিয়া সহ ছেলে- মেয়ের পরিবারের সদস্যরা।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফারহান শেখ তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।
বিডি গাইবান্ধা/