গাইবান্ধার বাদিয়াখালীর চুনিয়াকান্দিতে মুক্তা বেগমের জমি বেদখল করার অভিযোগ উঠেছে ফুলছড়ি উপজেলার উত্তর কাঠুর গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের পুত্র আখতার আলী হাজী সহ তার গংদের বিরুদ্ধে।
ফুলছড়ি থানার মামলা সূত্রে জানা গেছে- গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের চুনিয়াকান্দিতে মৃত সাইদুর রহমান স্ত্রী মুক্তা বেগমের ২০০৮ সালের রেজিঃ কবলা দলিল-৬২৯ ভোগ দখলকৃত জমি সহ জমিতে থাকা ঘরের ভাড়া উত্তোলন করে আসছে। কিন্তু বিবাদী আখতার আলী হাজী সহ তার গং আয়নাল হক, আনারুল ইসলাম, চান মিয়া, লাল মিয়া, ইমান আলী, আঃ মমিন, আঃ মতিন, খয়বর হোসেন, মাহাবুব মিয়া, স্বাধীন মিয়া, মাহাবুবুর রহমান, আবু বক্কর মিয়া, লাজু মিয়া, শাহআলম, ইয়াছিন আলী, আশরাফুল ইসলাম, মাসুম মিয়া, আঃ আজিজ, মালেক মিয়ারা বিভিন্ন তারিখ ও বিভিন্ন সময় উক্ত জমি জোরপূর্বক দখল করার ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গদের বিচার দিলে তারা একাধিকবার সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করলে তা না মেনে গায়ের জোরে উক্ত জমি জোরপূর্বক দখল করার ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে আসছিল। পরে চলতি সালের ২১ মে সকাল ৬টায় উপরোক্ত সকল বিবাদী পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী লাঠ, ছোড়া, লোহার রড, শাবল, বেকি, রামদা সহ বিভিন্ন হস্তরেখা অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উক্ত জমিতে প্রবেশ করে জমির চারপাশে টিনের সীমানা প্রাচীর স্থাপন করা শুরু করে।
তখন মুক্তা বেগম তাদেরকে বাধা দিলে তারা তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে বিবাদী আকতার আলীর হুকুমে বাকীদের হাতে থাকা লাঠি ও লোহার রড দিয়ে বাদীর বুকে,পিঠে মাথায় দুইহাতে শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে ছেলাফুলা জখম করে। অপর বিবাদী সিরাজুল ইসলাম মেম্বার বাদীর গলায় থাকা ৬২ হাজার টাকা মূল্যের ১ ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন গলা থেকে ছিড়ে নিয়েছে। বাদীর ভাতিজা দুলাল মিয়া রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসলে অন্যান্য বিবাদীরা লাঠি ও লোহার রড দিয়ে বাদীর বুকে,পিঠে মাথা সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে ছেলাফুলা জখম করে। বাদীর দোকানঘরের ভাড়াটিয়া মিন্টু মিয়া বাধা দিলে খয়বর, মাহাবুব, আশরাফুল, মামুন ও মতিন এবং অন্যরাও লাঠি ও লোহার রড ছাড়াও মিন্টু মিয়ার শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে ছেলাফুলা জখম করে। এক পর্যায়ে সকল বিবাদীরা তাদের হাতে থাকা লাঠি ও লোহার দ্বারা বাদী মুক্তা বেগম, তার ছেলে, ভাতিজা ও ভাড়াটিয়াদের শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাথারীভাবে মারপিট করতে থাকলে তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা কোন রকমের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে চলে যায়। পরে উপস্থিত ব্যাক্তিদের সহায়তায় দুলাল, মিন্টু, রাসেল ও সুমন মিয়াদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। সে সাথে বাদী স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা গ্রহন করেছে।
উক্ত তপশীল জমির ভোগ দখলকে কেন্দ্র করে বিবাদীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে উক্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জমির মালিক বিবাদী মুক্তা বেগম পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে ফুলছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং-
১১। তারিখঃ ২৬ মে ২০২১ ইং তারিখ।
বিডি গাইবান্ধা/