গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি গণকবর হতে বরমতাইড় মসজিদ পর্যন্ত ৭শ মিটার নদী ভাঙন প্রতিরোধ কাজে ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়ম-দুনীতি চলছে। উপরন্তু দুই বছরে এই অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে মাত্র ২শ মিটারের কাজ হয়েছে। অথচ সিডিউল মোতাবেক আগামী ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা। এতে যমুনার ভাঙনের মুখে পড়েছে গণকবর, সরকারি কলেজ, সিনিয়র আলীম মাদরাসা, হাফেজিয়া মাদরাসা, মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বাড়িঘর। এই অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে ফুলছড়ির আপামর জনগণ।
সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টিসহ বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও শতশত মানুষ ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লাকার্ড নিয়ে নদী তীরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রকল্প কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে তদন্ত দাবি করেন। মানববন্ধনে উল্লেখ করা হয়, ফুলছড়ি গণকবর হতে বরমতাইড় মসজিদ পর্যন্ত ৭শ মিটার নদী ভাঙন প্রতিরোধ কাজে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ৩৫কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। আগামী ৩০ জুন এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু কারচুপির মাধ্যমে এ পর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র দুইশ মিটারের।
মানববন্ধনে আরও উল্লেখ করা হয়, সিডিউল অনুযায়ী বেডে ৪ ইঞ্চি খোয়ার স্থলে ১থেকে দেড় ইঞ্চি খোয়া দেয়া হয়েছে। বেডে কিছু কিছু জায়গায় খোয়াই দেয়া হয়নি। বেডে নতুন করে বালু ফিলিং করার কথা থাকলেও সাইটে রক্ষিত পুরাতন জিও ব্যাগ কেটে সেই বালু দিয়ে ফিলিং করা হচ্ছে। নতুন জিও ব্যাগ ডাম্পিং এর কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না। বেডে রোলার ভাইব্রেশন মেশিন দিয়ে কনফেশন করার নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি। নদী ভাঙন প্রতিরোধের নামে সরকারের কোটিকোটি টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ফুলছড়িবাসীর পক্ষে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান, গজারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুল ইসলামসহ শহিদুল ইসলাম, মকবুল হোসেন প্রমুখ। এর আগে মানববন্ধনের শুরুতেই অসুস্থ ডেপুটি স্পিকার ও এলাকার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ফজলে রাব্বী মিয়ার জন্য মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।