গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ এখন প্রকাশ্যে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যক্ষ (অব) জাকারিয়া খন্দকার ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ শাহারিয়া খান বিপ্লব পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে একে অপরকে পদ থেকে অব্যহতি দেওয়াসহ নানা অনিয়ম ও সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে ধরেন।
সোমবার দুপুরে শহীদ মিনারস্থ দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যক্ষ জাকারিয়া খন্দকার। এতে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিধি বহিভূর্তভাবে উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ শাহারিয়া খান বিপ্লব ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে উপজেলা আ’লীগের এক কথিত সভা করেছেন। সেই সভা থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির পদ থেকে তাকে (জাকারিয়া খন্দকার) অব্যহতিসহ প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিলের সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অথচ এই সিন্ধান্ত আ’লীগের কোন স্তরের নেতাকর্মীই মানতে বাধ্য নয়। তার এমন কর্মকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
একই সঙ্গে লিখিত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক আলহাজ শাহারিয়া খান বিপ্লবের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও সাংগঠনিক বিরোধী কার্যক্রমের অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি। এছাড়াও সোমবার সকালে উপজেলা আ’লীগের জরুরী সভায় সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে আলহাজ শাহারিয়া খান বিপ্লবকে অব্যহতি দেওয়ার সিন্ধান্তের কথাও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এরআগে, অধ্যক্ষ জাকারিয়া খন্দকার কর্তৃক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ শাহারিয়া খান বিপ্লব। রবিবার দুপুরে পশ্চিমপাড়ার তালতলায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সাদুল্লাপুর উপজেলা আ’লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা উপলক্ষে দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব-বিভেদ সৃষ্টির নানা চেষ্টা চলছে। তারপরেও দলের ৪৮ জন নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বিভেদ সৃষ্টিকারী হিসেবে উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ জাকারিয়া খন্দকারকে দল থেকে অব্যহতি দেওয়া সিন্ধান্ত হয়। দল থেকে তার সদস্য পদ বাতিলের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানোর কথাও উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
উল্লেখ- গত ৩০ মে সকাল ১০টায় সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের দুই পক্ষ সভা আহবান করেন। কিন্তু একই দিনে একই সময়ে সভা আহবানে সহিংসতার আশংকা দেখা দেয়। এ কারণে রবিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শহীদ মিনার ও পাবলিক লাইব্রেরী এণ্ড ক্লাব চত্তর এলাকাসহ আশপাশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছিলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নবীনেওয়াজ।
বিিড গাইবান্ধা ডট নিউজ /সম্পাদক