রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা ফেলানি বেওয়া, বয়স (৭৫)বয়সের ভারে চলাফেরা করা বড়ই কষ্টের।
বছর খানেক আগে তার দুই পা প্যারালাইজড আক্রান্ত হয়। এখন তিনি পঙ্গু,বয়সও হয়েছে কোনও কাজ করতে পারেন না। তাই সন্তানদের কাছে অবহেলার নাম ফেলানী।
ফেলানীর জন্য থাকার জায়গা জোটেনি কোন ঘরে। তাই গোয়াল ঘরের মাটিতে গরু-ছাগলের সাথেই তার ঘুমানোর জায়গা। দীর্ঘদিন থেকে এভাবে চলে আসছে তার জীবনের শেষ সন্ধিকাল অবহেলার পাত্র ফেলানী।
স্থানীয় এক ছেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পোষ্ট করে ফেলানীর গোয়াল ঘরে গরু ছাগলের সাথেই কাটে তার জীবন।
ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসে রংপুর জেলা পুলিশের অভিভাবক মানবিক পুলিশ সুপার বিপ্লব_কুমার_সরকার,
পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আশরাফুল আলম পলাশ ফেলানীর বাড়িতে চাল, ডালসহ অন্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও চিকিৎসার জন্য কিছু নগদ সাহায্য নিয়ে দিয়ে আসেন ফেলানীর মিঠাপুকুর বাড়িতে।
ফেলানির পারিপার্শ্বিক অবস্থা জেনে পুলিশ সুপার মহোদয় তার জন্য একটি হুইল চেয়ার ও আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন।
সোমবার বিকেলে এসপি বিপ্লব_কুমার_সরকারের পক্ষে সহকারী পুলিশ সুপার জনাব আশরাফুল আলম পলাশ পঙ্গু বৃদ্ধা ফেলানীর জন্য একটি হুইল চেয়ার ও থাকার বাসস্থান তৈরীর জন্য ব্যবস্থা করেন। এসময় তার ৩ ছেলেকে বাবা-মায়ের ভরণপোষণ ও চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
রংপুর এসপি বিপ্লব_কুমার_সরকারের মানবিকতার কারণেই প্রায় দেড় বছর ধরে গোয়াল ঘরের মাটিতে পড়ে থাকা ফেলানী পেল বাসযোগ্য ঘর।