গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলাধীন ১০ নং শান্তিরাম ইউনিয়নের বাসিন্দা এক সময়ের পুলিশ কনস্টেবল, যাকে চাকুরী হারাতে হয়েছে ডাকাতদেরকে সরকারী অস্ত্র ভাড়া দেওয়ার জন্য। উল্লেখ্য যে এই আনছার আলী যথারীতি ডাকাতদেরকে অস্ত্র ভাড়া দিত এবং কোন একদিন ডাকাতরা তাকে যথাসময়ে অস্ত্র জমা না দেওয়ার কারণে তাকে চাকুরীচ্যুত হতে হয়েছে।
আনছার আলীর ৩ জন ছেলে। তারা প্রত্যেকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। ৩ জন ছেলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কলহ প্রিয় ফারদিন শাহরিয়ার আযাদ মাসুম একটা চরম বেয়াদব এবং উম্মাদ ছেলে। আনছার আলীর এই ছেলে গত এক সপ্তাহ আগে শান্তিরাম ইউনিয়নের বাসিন্দা সমাজ সেবক, শিক্ষক ও সাংবাদিক সাখাওয়াৎ হোসেন মিলনকে মোবাইল ফোনে এই মর্মে হুমকি দেয় যে, তুমি বেলকা ঢুকলে তোমাকে মারতে মারতে বাড়িতে পাঠাবো। এর একটা পর্যায়ে আজ ২৪.০৫.২০২১ ইং সকাল আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় বেলকা চৌরাস্তার মিন্টুর দোকানের সামনের চায়ের স্টলে সাংবাদিক সাখাওয়াৎ হোসেন কে লক্ষ্য করে ধারালো ছুরি দিয়ে পিছনের দিক থেকে চুরাকাঘাতের চেষ্টা করে। এমতাবস্হায় স্টলে থাকা নাজমুল,মোকছেদ,আনজু,হেলাল উদ্দিন ও অনেকেই তাকে আটক করে। সন্ত্রাসী আনছারের ছেলেকে আটক করা প্রত্যেকের বর্ণনা মতে,সন্ত্রাসী আনছারের ছেলে যেভাবে সাংবাদিক সাখাওয়াৎ কে ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করেছিল এটির শেষ পরিনতি ছিল তার পিঠে ছুরি ঢুকে দিলে পেট দিয়ে বের হয়ে যেত। তার ধারালো অস্ত্রের ভাবমূর্তি দেখে উক্ত স্হানে থাকা বেশ কিছু লোক এই বর্ণনা দিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে জনমনে ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী আরও জানান এই ছেলেটি প্রকৃতপক্ষে চরম বেয়াদব এবং উদ্ভট প্রকৃতির ছেলে। উল্লেখ্য যে আনছার আলীর এই ছেলেরা গত বছর সন্ত্রাসী কায়দার ৩ জনের হাতে তিনটি ধারালো রামদা দিয়ে একই এলাকার মাহাবুর নামের এক ছেলেকে মারার প্রস্তুতি নিয়ে বেপরোয়া মারপিট করে এবং তাদের হাতের অস্ত্র দিয়েই ৩ জনেই জখম হয় এবং কিজানি অজানা কারণে এবং এলাকাবাসী তাদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করলে গ্রামের লোক জনদের চাপের মুখে আইনের আশ্রয় ও নিতে পারেনি।
আজকের এই বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে তাৎক্ষনিকভাবে জানালে পুলিশ পরিদর্শক আবুল কালাম ঘটনাস্হলে আসেন এবং বিষয়টি তদন্ত করে সাংবাদিক সাখাওয়াৎ কে আইনি ব্যবস্হা নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।