২২ মে ২০২১ প্রয়াত মুক্তিহরণ সরকারের ২৪ তম প্রয়াণ দিবসে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে গাইবান্ধার কামারপাড়ার উদীচী। বাজারের পাশেই ছোট্ট একটি খোলা জায়গায় ছিলো অনুষ্ঠান। আয়োজকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আয়োজন করেন এ অনুষ্ঠানের। ভবেশ চন্দ্র টুনু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন কবি পাভেল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষক আজিজার রহমান খন্দকার, আঃ গনি সরকার তারা মিয়া, আঃ জলিল সরকার, শফিকুল ইসলাম, কবি পিটু রশিদ, শিক্ষক পিযুষ কান্তি অধিকারী, জয়েন উদ্দীন, কামারপাড়া মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মশিউর রহমান রূপম।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনার ফাঁকে ফাঁকে রনজিৎ কুমার সরকার মুক্তিহরণ সরকারের উপর স্মৃতিচারণও করছিলেন। অনুষ্ঠানে ফটো সাংবাদিক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেএস সেলিম।
মুক্তিহরণ সরকারের উপর আলোচকদের প্রাণবন্ত আলোচনা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনছিলো আগত দর্শকবৃন্দ। মুক্তিহরণ সরকার জীবদ্দশায় ছিলেন একজন আদর্শবান মানুষ। সাদা মনের মানুষ। তাঁর রচনা সমগ্র গবেষণার দাবি রাখে। আলোচকগণ মুক্তিদা’র জীবন ও কর্ম এবং চেতনার মূলমন্ত্র সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আলোচকদের অনেকেই স্মৃতিচারণও করেন এবং তার রচিত কবিতা পাঠ করে শোনান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জার্নালিজমে অনার্স ও মাস্টার্স পাশ একজন মানুষ, নিজ গ্রামের উন্নতির জন্য নিরলস চেষ্টাতো ছিলোই সেই সাথে আঞ্চলিক ভাষার গান, কবিতাও তার ঝুলিতে কম নয়। জানা মতে তার লেখা সহজ বাংলা ভাষার ব্যাকরণের একটি বই তিনি লিখেছিলেন। লিখেছেন গবেষণামূলক প্রবন্ধ। ২৪তম প্রয়াণ দিবসে কামারপাড়ার উদীচীর অনুষ্ঠানটি ছিলো একেবারে সুন্দর, গোছানো আর পরিপাটি। এরকম একপ্রকার ঘরোয়া অনুষ্ঠানের প্রয়োজন আছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।
আলোচনা শেষে মুকতিহরণ সরকারের রচিত গান পরিবেশন করেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক শিক্ষক রনজিৎ কুমার সরকার, জগবন্ধু সরকার, গোলাম মারুফ চৌধুরী। তবলায় ছিলেন লিটন সরকার।
বিডি গাইবান্ধা/