রবিবার (২৩ মে) সকাল দশটায় ভিডিও কনফারেন্সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুভ উদ্বোধন করবেন বনগ্রাম ইউনিয়নে ইদ্রাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক একাডেমি ভবন ও বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ভিডিও কনফারেন্সে রবিবার (২৩ মে) সকাল ১০ টায় যুক্ত হবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।
ভিডিও কনফারেন্সের তিনি সাদুল্লাপুরের বনগ্রাম ইউনিয়নের অবস্থিত ইদ্রাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক একাডেমি ভবন ও বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করবেন।
ইদ্রাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমি ভবন ও বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রটির নির্মান কাজ সহ যাবতীয় কাজ সম্পূর্ণ করেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যেই জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুভ উদ্বোধনে জন্য সকল প্রস্তুতি ও সম্পন্ন করা হয়েছে । ১২৭৮৮.২৫ বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট বন্যার সময় ৪০০ জন মানুষের ধারন ক্ষমতা,উন্নত পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্হা সম্পূর্ণ তিন তলা ভবনের প্রতি তলার আয়তন ৪২৬২.৭৫ বর্গফুট। পাশে রয়েছে ১০০ টি গবাদি পশুর ধারন ক্ষমতা সম্পূর্ণ উন্নত সেড।
ইদ্রাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অত্যাধুনিক একাডেমি ভবন ও বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রটি নির্মাণে মোট বরাদ্দ ধরা হয়ে ছিলো ৩ কোটি ১৬ লক্ষ ৪৩ হাজার ৭ শত ৬৮ টাকার তার মধ্যে থেকে ২ কোটি ৮৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৪ শত ১৩ টাকায় নির্মাণ কাজ সহ যাবতীয় কাজ সম্পূর্ণ করেছে আব্দুল হালিম মন্ডল গোরস্থান মোড় গাইবান্ধা নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর শুভ উদ্বোধনের পূর্বে শুক্রবার( ২১ মে) বিকালে বিদ্যালয় ভবন ও আশ্রয় কেন্দ্রটি পরিদর্শন ও উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেছেন,গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন।
রবিবার (২৩ মে) দুপুরের পর বিদ্যালয়ের
অত্যাধুনিক একাডেমি ভবন ও আশ্রয় কেন্দ্রটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা কালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত শিক্ষার্থী,জীবন যুদ্ধে হার না মানা প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগী, সরকারি ও দলীয় শীর্ষ স্হানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করবেন বলে নিশ্চিত করেন,সাদুল্লাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সাহারিয়ার খাঁন বিপ্লব।
তিনি বলেন,উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় পিছিয়ে নেই সাদুল্লাপুর।শিক্ষার বৈপ্লবিক পরিবর্তন ও দূর্যোগ কালীন ঝুকি মোকাবিলায়ের ক্ষেত্রে আরো একধাপ এগিয়ে গেলো সাদুল্লাপুর।
সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নবী নেওয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে মতবিনিময় করলে তা সাদুল্লাপুর বাসীর জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।তিনি বলেন,ইতিমধ্যেই সাদুল্লাপুর বাসীর জীবনযাত্রার মানের টেকসই পরিবর্তন করতে প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, বিধবা, নিগৃহীতা ভাতাভোগীর সংখ্যা ৩০ হাজারের উপরে উন্নীত করা হয়েছে ও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, যোগাযোগ ব্যবস্হাসহ সকল ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় এসেছে অভাবনীয় সাফল্য।
উল্লেখ্য যে,
গাইবান্ধার সাত উপজেলার মধ্যে ৫ উপজেলা বন্যাপ্রবন নদী ভাঙ্গন দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হওয়ায় বন্যার সময় জনমানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও বন্যা পরবর্তী সময়ে উন্নত ও মনোরম
উন্নত পরিবেশ ছাত্র -ছাত্রীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্মিত হচ্ছে আটটি বিদ্যালয়ে অত্যাধুনিক একাডেমি ভবন ও বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র। এ সকল আশ্রয় কেন্দ্র জানুয়ারি ২০১৮ হতে জুন ২০২২ সালের মধ্যে নির্মিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ (৩ য় পর্যায়)শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সরকারের দূর্যোগ ব্যবস্হাপনা অধিদপ্তর ও দূর্যোগ ব্যবস্হাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় যৌথ ভাবে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন।
বন্যা প্রবন ও নদী ভাঙন এলাকায় বন্যা আশ্রয় নির্মাণ (৩য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ১৫০৭৪৩০০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে
৭টি বিভাগের ৪২টি জেলার ২ শত ৪৭ টি উপজেলায় ৪ শত ২৩ টি বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহন করে বাংলাদেশ সরকার। যাতে করে বন্যা ও প্রাকৃতিক যে কোন দুর্যোগ কালীন সময়ে প্রতিটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে ৪০০ জন বিপদাপন্ন মানুষ ও ১০০টি প্রাণী সম্পদ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করতে পারে। সারা দেশে ৪ শত ২৩টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে নির্মাণ হলে মোট ১৬ লক্ষ ৯ হাজার ২ শত জন বিপদাপন্ন মানুষ ও ৪২ হাজার ৩০০ টি প্রাণী সম্পদ আশ্রয় গ্রহণের সুযোগ পাবে।পাশাপাশি এ প্রকল্পের আওতায় দূর্যোগপূর্ন বন্যা এলাকার ৪ শত ২৩ টি বিদ্যায়ের শিক্ষার্থীরা অত্যাধুনিক একাডেমিক ভবন পাওয়ায় ঝুঁকিমুক্ত উন্নত মনোরম পরিবেশে
শিক্ষার্থীরা শিক্ষা লাভের সুযোগ পাবে। তাছাড়া ভবন গুলো বহুমূখী ব্যবহারের উপযোগী করে নির্মাণ করায় জাতীয় ও স্হানীয় যে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগে সুবিধা ভোগ করবে স্হানীয় জনগন ।