উত্তর জনপদের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, জাতীয় পর্যায়ে অন্যতম টক শো প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব, ব্যারিষ্টার ও গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য জননেতা শামীম হায়দার পাটোয়ারীর একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি বলেন,মানুষে মানুষে অনেক বিভেদ-বৈষম্য থাকতে পারে। কিন্তু সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছে আমরা সকলেই মানুষ।
তিনি বলেন,সব মানুষ একই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি এবং সব সৃষ্টির মধ্যে মানুষ শ্রেষ্ঠ। পৃথিবীর একই জল হাওয়ায় আমরা বেড়ে উঠি।আমাদের সবার রক্তের রং লাল। তাই মানুষ একে অন্যের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।
ভৌগোলিকভাবে আমরা যে যেখানেই বসবাস করি না কেন,অথবা আমরা যে যুগেরই মানুষ হই না কেন,আমাদের পরিচয় একটাই আমরা মানুষ। কখনো কখনো স্বার্থসিদ্ধির জন্য আমরা জাত-কুল,ধর্ম-বর্ণের ও সামাজিক জীবনে নানারকম পার্থক্য তৈরি করে মানুষে মানুষে কাটাকাটি,মারামারি করি,একে অপরকে দূরে ঠেলে দেই,এক দল আরেক দলকে ঘৃণা করি, পশ্চাতে ফেলতে চাই,পরস্পর হানাহানিতে লিপ্ত হই।
তিনি বলেন, এগুলো আসলে সাময়িক। প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে,আমরা একে অপরের সুহৃদ। আমাদের উচিৎ সবাইকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ রাখা। তিনি বলেন,প্রত্যেককে মানুষ হিসেবে মর্যাদা দেওয়া এবং তার অধিকার সংরক্ষণে একনিষ্ঠ থাকা প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে এসে যায়।
তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে নারী-পুরুষ, শিক্ষিত- অশিক্ষিত,ধনী-দরিদ্র,হিন্দু-মুসলমান,বৌদ্ধ-খ্রীস্টান,কেন্দ্রবাসী-প্রান্তবাসী এমন ভাগাভাগি কখনোই কাম্য হতে পারে না। তাতে মানবতার অবমাননা করা হয়। তাই আধুনিক কালে এক বিশ্ব,এক জাতি চেতনার বিকাশ ঘটছে দ্রুত।মানব জাতির এই একাত্ম-ধারনা প্রতিষ্ঠিত হলে যুগে যুগে, দেশে দেশে মারামারি, যুদ্ধ-বিগ্রহ কমে আসবে। মানুষ সংঘাত, বিদ্বেষমুক্ত শান্তিপূর্ণ এক বিশ্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সর্বত্র মনুষ্যত্বের জয়গাথা ঘোষিত হবে।
তিনি আরও বলেন, সব ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের মানুষকে মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে,বিশুদ্ধভাবে ভালোবাসতে পারলেই বিশ্বে প্রার্থিত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠিত হবে।
বিডি গাইবান্ধা /উপ-সম্পাদক,মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন সরকার(মিলন)