অনিয়ম-দুর্নীতি ও অসদাচরণের দায়ে প্রশাসনিক কারনে জারিকৃত বদলির আদেশ পাওয়ার এক মাসেও স্টেশন ছাড়েননি পলাশবাড়ী উপজেলার সেই বিতর্কিত ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা আঃ ছালাম।
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ভারপরাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা(Aueo) একেএম আঃ ছালাম কে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় প্রশাসনিক বদলির আদেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
গত ৮ এপ্রিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো.আব্দুল আলিম স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে পত্রে উল্লেখ করা হলেও দীর্ঘ এক মাসেও আদেশটি কার্যকর না হওয়ায় ভুক্তভোগি শিক্ষক মহলসহ সচেতন পলাবাড়ীবাসীর মাঝে মিশ্র প্রতক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছ।
উল্লেখ্যঃ গেল বছর ফ্রেব্র্যায়ারী-মার্চ থেকে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা(Aueo)একেএম আঃছালামের বিরুদ্ধে সরকারি ভ্যাট,শিক্ষকদের টিএ বিল,ক্ষুদ্র মেরামতের চেক দিতে শিক্ষকদের নিকট থেকে কমিশন গ্রহন, মন্ত্রনায়ের নির্দেশ উপেক্ষা করে ৬/৭ হাজার টাকার বায়োমেট্রিক (হাজিরা) মেশিন ২২ হাজার টাকায় ক্রয়ে শিক্ষকদের বাধ্য করা, ট্রেন্ডারকৃত বিল্ডিং এ ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা বরাদ্দ দিয়েশিক্ষকদের নিকট থেকে অতিরিক্ত কমিশন আদায়, বদলী বানিজ্য, শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণসহ নানা অনিয়ম-দৃর্নিতির অভিযোগে ফুসে উঠে ওঠে পলাশবাড়ী। তার এই সীমাহীন দুর্নীতি নিয়ে পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের পক্ষে সহ-সভাপতি মো. ফেরদাউছ মিয়া,বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি পলাশবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি মো. মোঞ্জুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক মো. আঃ আজিজ সরকার পৃথক ভাবে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা আআত্নসাতের অভিযোগ এনে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।এছাড়াও পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,উপজেলা সমন্বয় কমিটির মাসিক সভাতেও বায়োমেট্রিক(হাজিরা) মেশিন ক্রয়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ এনে রেজুলেশন করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়সহ একাধিক দপ্তরে অভিযোগ করেন।
গেল বছর শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের তত্তাবধানে উপ পরিচালক মির্জা মো.হাসান খসরু গত ২৪ দিসেম্বর/২১ ইং পলাশবাড়ী প্রেসক্লাব সহ-সভাপতির অভিযোগটি সরেজমিনে তদন্ত করেন। তদন্তে অধিকাংশ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শিক্ষা অফিসারকে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে শাস্তি মূলক বদলী এবং সহযোগিতার দায়ে হিসাব সহকারি আসাদুলের বিরুদ্ধে অধিদপ্তর বিভাগিয় মামলা দিয়েছে।
এদিকে অনিয়ম-দুর্নীতি ও অসদাচরণের দায়ে প্রশাসনিক কারনে জারিকৃত বদলির আদেশ পাওয়ার এক মাসেও স্টেশন ছাড়েননি।
পলাশবাড়ী উপজেলার সেই বিতর্কিত ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা(Aueo)একেএম আঃ ছালাম।
এ ব্যাপারে রংপুর বিভাগিয় উপ-পরিচালক ( ভারপ্রাপ্ত) মোজাহিদুল ইসলাম জানান,পলাশবাড়ী শিক্ষা কর্মকর্তা এখনো স্টেশন ছাড়েন নি,বিষয়টি আমি অবগত নই।তবে এখন জানলাম দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এবিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হোসেন আলী জানান, লক ডাউনের করণে একটু সমস্যা হচ্ছে,লক ডাউন শেষ হলেই উদ্ধতন কতৃপক্ষের সংগে কথা বলে দ্রুত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।