গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার আওয়ামী পরিবারের ও স্বাধীনতার পক্ষে সর্বস্তরের মানুষের প্রানের দাবী পৌর মেয়র জননেতা গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লব ই হোক আগামী দিনে পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ! সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এ দাবীর পক্ষে রয়েছে বলে দাবী করেন দলীয় সমর্থকগণ।

সরেজমিন তথ্য অনুসন্ধান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানাযায় বিপ্লব বিহীন পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ অনেকটা বেমানান। আরো জানা যায়, পারিবারিক সুত্রে রাজনীতিতে আসা এই ব্যাক্তি একাধারে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও সর্বশেষ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বেশ সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়াও তিনি গাইবান্ধা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের তিন বারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, পলাশবাড়ী ডিগ্রি মাদ্রাসাসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।সর্বশেষ তিনি দেশের ২য় বৃহত্তর পলাশবাড়ী পৌর নির্বাচনে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়ে জননেতায় পরিনত হয়েছেন।

উপজেলা আওয়ামীলীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন নেতা বলেন বিপ্লবের বাবা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সফল সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সাকোয়াতজ্জামান প্রধান বাবু চেয়ারম্যানের বনাঢ্য জীবন যেমন তার অবর্তমানে তার ছেলে মেয়র বিপ্লব ও ঠিক তেমন। বাবার মত নেতৃত্বদানের সাংগঠনিক গুণাবলী রয়েছে তার মধ্যে।

বিগত রাজনৈতিক জীবনে বিএনপি জামাতের সহিংসতায় রাজপথে থেকে অন্দোলন সংগ্রাম করা এই নেতাকে বর্তমানে কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে। ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধারে মত্ত এক শ্রেনীর চশমখোর নেতৃত্ব দলকে সুসংগঠিত না করে কুংখিগত করে রাখার চক্রান্তে মেতে উঠেছে । তারা নিজেদের স্বাথ্য রক্ষায় দলের স্বার্থকে বিলিন করে দিচ্ছে। এমতবস্থায় দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে তার চেয়ে আছে আগামী সম্মেলনের দিকে । উপজেলা শাখার এ সম্মেলনে তৃণমুলের নেতাকর্মীরা উচিৎ জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট পলাশবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি আশরাফুল ইসলাম তিতাস, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রতন বলেন মেয়র বিপ্লব বিহীন পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির ভবিষ্যত অন্ধকার। এ পরিবারটি ছাড়া পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগ সুন্দর বাগান যেন হারিয়ে যায়। সুন্দর বাগানের আরো সুন্দর করতে পরীক্ষিত এ পরিবারটিকে আওয়ামী পরিবারের স্থানীয় ভাবে প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন তারা।

তাতীলীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান টিটু ও সাধারণ সম্পাদক সাইকলাইন মাহামুদ সজিব বলেন কেবল মাত্র ইর্ষান্বিত হয়ে এই নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে প্রথম সারির গুটি কয়েক নেতা। আগামী কাউন্সিলে এই নেতাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চায় তাতীলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ।

ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারন সম্পাদক মহিউজ্জানান খোকন বলেন, জনদাবীর মুখে এই নেতা পৌর নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন এবং সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসরে বিপুল ভোটে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন যেটা পলাশবাড়ীর একটি নতুন ইতিহাস। রাজনীতিতে এটা ভুল সিদ্ধান্ত হলে ও জনদাবীর কাছে তিনি অসহায় ছিলেন। কিন্তু সম্পুর্ন রাজনৈতিক ঈর্ষান্বিত হয়ে এই নেতাকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান দুঃখ জনক বলে মনে করেন তিনি । তিনি আরো বলেন বিএনপি জামাত অধ্যাসিত এই এলাকার জন্য দলের জন্য পৌর মেয়র গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লবের প্রয়োজন রয়েছে। এজন্য তিনি দলে হাই কামান্ড ও দলের নেতাকর্মীদের আস্থার স্থল বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

একই দাবী করেন মনোহরপুর,হরিনাথপুর, বেতকাপা ও পবনাপুর ইউনিয়ের প্রথম সারির নেতারা তারা বলেন পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজপথের যে কোন আন্দোলন সংগ্রামে এই নেতার গুরুত্ব অপরিসীম। একই কথা বলে প্রবীন রাজনীতিবিদ সাইফুল ইসলাম, ও বাচ্চা শেখ তারা বলেন আওয়ামিলীগের রাজনীতিতে বিপ্লবকে দরকার। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নির্মল মিত্র বলেন দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুযায়ী পলাশবাড়ীর রাজনীতিতে বিপ্লবের বড়ই প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধুর আর্দশের কান্ডারী হিসাবে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লব একটা ব্রান্ড সার্বিক দিক বিবেচনা করে তার দলের প্রত্যাহার আদেশ তুলে নেয়া দরকার।

সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম বাদশা, ছাড়াও আওয়ামীলীগ নেতা মাহাবুব আলম মাষ্টার,ডঃ মাহাবুবর রহমান,নারী নেত্রী শ্যামলী বেগম ও সাবিনা ইয়াসমিন বলেন আগামী দিনে উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে বিপ্লবই হবেন দলের সাধারণ সম্পাদক।
সর্বপরি পলাশবাড়ীবাসীর ও দলের সর্বস্তরের তৃণ মুলের নেতাকর্মীদের প্রানের দাবী পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিপ্লবকেই করা হোক উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।