গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলায় দাদন ব্যবসার টাকার প্রতিবাদ করায় পূর্ব পরিকল্পনায় প্রতিবাদি যুবক আলমগীর হোসেনের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে মাথায় ধারালো অস্ত্র দ্বারা গুরুতর হাড় কাটা জখম করে। এ হামলায় স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে ঘটনাস্থল হতে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া গুরুতর আহত জাহাঙ্গীর হোসেন প্রান রক্ষা পেয়েছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় ২৮ এপ্রিল সদর থানায় ১৪৩/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড-১৮২৬০ বেইনী জনতাবদ্দে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম, চুরি,ভয়ভীতি প্রদর্শন এর অপরাধে মামলা দায়ের হয়েছে যাহার মামলা নং-৭২/২০২১।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল বিকাল ৩ ঘটিকার সদর উপজেলা নরায়নপুর সুখনগর এলাকার মোসলেম আলীর ছেলে রতন আলীর দাদন ব্যবসার টাকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার দাদন ব্যবসায়ি রতন আলী ও তার বাহীনীর ৭ হতে ৮ জন অপরিচিত অজ্ঞাত ব্যক্তি ঘটনার দিন পৌর এলাকায় সুখশান্তির মোড় নামক স্থানে এ হামলায় অংশ নেয় বলে জানা যায়। এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলেও হয়নি অভিযুক্ত আসামী গ্রেফতার হয়নি। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহিৃন্ত ব্যক্তিসহ অন্যান্যদের অপরাধিরা গ্রেফতার না হওয়া ব্যাপক ভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ও দুঃচিন্তায় পড়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার। গ্রেফতার অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার ও আইনের মাধ্যমে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযুক্ত রতন মিয়ার সাথে কথা বলে সে জানায়,হুমকি ধামকি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, অভিযোগকারী সে নিজেও দাদন ব্যবসা করে আমিও নিজেও অল্প দিন হলো দাদন ব্যবসা করি। এবং তারা দু ভাই আমাকে আগের দিন মারধর করায় আমি পরেরদিন আলমগীর হোসেনের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেনকে একাই মারধর করেছি এসময় আমার সঙ্গে কেউ ছিলোনা যেহেতু থানায় মামলা হয়েছে সেকারণে বর্তমান সময় সরে আছি। আমার ব্যবসায় যতগুলো স্ট্যাম্প রয়েছে সেখানে অভিযোগকারী নিজের স্বাক্ষর রয়েছে। যাই হোক দ্বন্দ তো আর একা হয় না উভয়ের দোষ কম বেশী থাকে আমরা বিষয়টি পারিবারিক ভাবে মিমাংসা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
মামলার বাদী আহত জাহাঙ্গীর হোসেনের ভাই আলমগীর হোসেন বলেন, সুদের টাকার প্রতিবাদ করায় অভিযুক্ত ব্যক্তি আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাননাশের উদ্দেশ্যে হামলা করে আমার ছোট ভাইকে হামলা করে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে এবং জরুরী ভাবে হাসপাতালে নেওয়ায় প্রানে রক্ষা পেলেও আজ আমার গোটা পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এঘটনায় সদর থানায় ৭২/২০২১ নং মামলা দায়ের হয়েছে । আমি অভিযুক্ত ব্যক্তিসহ অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেফতারের জোড় দাবী জানাচ্ছি। সে নিজের অপরাধ ঢাকার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজব ছড়িয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে অপরদিকে লোকজনকে দিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এস আই জহুরুল ইসলাম জানান,এঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আসামী রতন যে ছেলেটাকে মারধর করে আহত করেছে তার সাথে তার কোন লেনদেন নাই । তবে সে কেন অন্যায় ভাবে একজন নিরঅপরাধ ব্যক্তিকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করবে। অপরাধীর আইন অনুযায়ী শাস্তি হবে।