প্রকৃতির সবকিছুরই একটি স্বাভাবিক সৌন্দর্য রয়েছে এবং সেই সৌন্দর্য যথোপযুক্ত পরিবেশেই স্বতঃস্ফূত ও আকর্ষণীয়।
সৌন্দর্য প্রকৃতির এক মহামূল্যবান দান। কোথায় সেই সৌন্দর্য সবচেয়ে নান্দনিক তা প্রকৃতিই নির্ধারণ করে দেয়। নির্দিষ্ট পরিবেশের ব্যত্যয় ঘটলে সৌন্দর্যের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য নিষ্প্রভ হয়ে যায়। বন্য পাখিরা বনেই সুন্দর, পাখিরা মুক্ত আকাশে। ফুল সুন্দর গাছে,মাছ স্বাভাবিক জলে। কিন্তু বন্য প্রাণীকে লোকালয়ে, পাখিকে খাঁচায়,ফুলকে ফুলদানিতে,মাছকে ডাঙ্গায় রাখলে তাদের জীবনের গতি ব্যাহত হয়,সৌন্দর্যের হানি ঘটে,কখনও কখনও জীবন নাশের আশঙ্কা তৈরি হয়।এরা প্রত্যাশিত পরিমন্ডল হারিয়ে নিষ্প্রাণ হয়ে উঠে।
তেমনি শিশুরও যথার্থ স্হান মায়ের কোল। মায়ের কোলে শিশুকে যতটুকু মানায়,অন্য কোথাও তা সম্ভব নয়। নিজেদের শখ আহ্লাদ পূরনের জন্য মানুষ কখনো কখনো কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে বন্য প্রাণী,পাখি, মাছ পোষার চেষ্টা করে কিছুটা হয়তো সফলও হয়। কিন্তু সেইসব প্রাণীর জীবনের ছন্দ নষ্ট হয়,ব্যাহত হয় যথার্থ বিকাশ।
তাই কৃত্রিমতা কখনো গ্রহনযোগ্য নয়। শুধু প্রাণীর আবাস নয়,মানুষের জীবনেও কৃত্রিমতা কাম্য নয়। কখনো কখনো মানুষ মুখোশ পরে তার যথার্থ রুপকে ঢেকে কৃত্রিম আচরণ করে।এটা মোটেই কাম্য নয়। ময়ূরের পেখম লাগালেই কাক কখনো ময়ূর হয় না। যার যেখানে স্হান তাকে সেখানেই থাকতে দেওয়া উচিত। প্রকৃত রুপেই সবকিছু সুন্দর, কৃত্রিমতা স্বতঃস্ফূর্ততার অন্তরায়।
বিডি গাইবান্ধা /উপ-সম্পাদক,মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন সরকার(মিলন)