মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় বাবা-মার ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বিপুল মিয়া (১৪) নামে এক কিশোর। শনিবার বিকেলে কামারদহ ইউনিয়নের বকচর মধ্যপাড়া গ্রামের একটি আম গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় বিপুল মিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিপুল মিয়া ওই গ্রামের দরিদ্র লেবার শ্রমিক লাজু শেখের ছেলে। এরআগে, দুপুরে একটি পানির বোতল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় বিপুল। অনেক খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পায়নি পরিবারের লোকজন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কয়েক দিন ধরেই বিপুল তার দরিদ্র বাবা লাজুর কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা মুল্যের একটি মোবাইল ফোন কিনে চায়। কিন্তু দরিদ্র বাবার অভাবের সংসারের কারণে ছেলেকে মোবাইল কিনে দিতে পারেনি বাবা লাজু মিয়া। শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে অভিমান কারে বের হয় বিপুল।অনেক খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। বিকেল ৫টার দিকে বাড়ির পাশে ধানের জমি দেখতে গিয়ে আম গাছের ডালে বিপুলের ঝুলন্ত লাশ দেয় পায় প্রতিবেশি। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানায় স্থানীয়রা।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. আফজান হোসেন জানান, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ আম গাছ থেকে বিপুলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। মোবাইল ফোন না পাওয়ার অভিমানে বিপুল আত্মহত্যা করেছে বলে তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
বিডি গাইবান্ধা ডট নিউজ /সম্পাদক/জিল্লুর রহমান পলাশ