মাঠের বির্স্তীণ বোর ধান কাটা-মাড়াইয়ের জন্য গাইবান্ধা জেলা থেকে শ্রমিক পাঠানো শুরু হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। প্রথম দফায় সোমবার রাতে ও গতকাল রবিবার দুই দিনে জেলার ৭৩ জন কৃষি শ্রমিককে পাঠানো হয়েছে কুমিল্লা জেলা ও বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায়।
স্বাস্থ্য বিধি মেনে বিশেষ ব্যবস্থায় গাইবান্ধা জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের উদ্যোগে পৃথক দুটি বাসে করে এসব শ্রমিকদের পাঠানো হয়। এরমধ্যে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা থেকে ৩৩ জন শ্রমিককে কুমিল্লা জেলায় ও গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে ৪০ জন শ্রমিককে পাঠানো হয় বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায়।
গাইবান্ধা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, দেশের বিভিন্ন জেলায় ধান কাটার মৌসুম শুরু হলেও সেখানে শ্রমিক সংকট রয়েছে। এজন্য স্বাস্থ্য বিধি মেনে বিশেষ ব্যবস্থায় বিভিন্ন জেলার জমি মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ নিশ্চিত করেই গাইবান্ধা জেলার কৃষি শ্রমিকদের ধান কাটতে পাঠানো হয়। ধান কাটা-মাড়াই শেষে এসব শ্রমকিদের আবারও জেলায় ফিরিয়ে আনা হবে।
লকডাউনে কর্মহীন শ্রমজীবি মানুষরা প্রশাসনের উদ্যোগে ধান কাটা-মাড়াইয়ের জন্য অন্য জেলায় যেতে পেরে আনন্দিত। তারা বলছেন, স্বাস্থ্য সচেতনতা মেনেই ধান কাটা শেষে বাড়ি ফিরবেন। ১৫-২০ দিন ধান কেটে পারিশ্রমিকের টাকায় পরিবার নিয়ে ভালো থাকার আশাও তাদের।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান জানান, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে শ্রমিকদের বাসে করে ধান কাটা-মাড়াইয়ের জন্য পাঠানো হয়। সকল শ্রমিকদের করোনা সংক্রমণ রোধে মাক্স, সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে। জেলা থেকে পাঠানো শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে যোগাযোগও রাখা হবে।