দেশব্যাপী মহামারী করনা ভাইরাসের কারনে গাইবান্ধায় চলছে সরকার ঘোষিত দ্বিতীয় দফার কঠোর লকডাউন। তারপরও সচেতন হচ্ছে না মানুষ। লকডাউন চললেও তা মানছেনা ব্যবসায়ী, পথচারী সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। লকডাউন অমান্য করে শহরে বের হচ্ছে তারা৷ অন্যদিকে প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে মানুষজন। তারপরো যেন থেমে নেই তাদের ঘোরাফেরা। আইন প্রয়োগ করেও ঠেকানো যাচ্ছে না চলাচল। কেউ প্রয়োজনে আবার বা কেউ বের হচ্ছে অপ্রয়োজনে। রবিবার শহরের চিত্র ছিল অন্যরকম। দূর পাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকলেও শহরের শপিংমল, দোকানপাঠগুলো কিছু বন্ধ থাকলেও আবার কিছু দোকান আংশিক খোলা থাকতে দেখা গেছে। গাইবান্ধা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বি সার্কেল ইলিয়াছ জিকুর নেতৃর্ত্বে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ সদস্যরা শহর রাউন্ড দিলে খোলা দোকানগুলো পুলিশের গাড়ির হুইসেল শুনতে পেয়ে বন্ধ করতে দেখা গেছে।
এর আগে লকডাউন বাস্তবায়নে শহরের ভিতর যত্রতত্র গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণে গাইবান্ধা ট্রাফিক ইনচার্জ নুর আলম সিদ্দিক সহ সদস্যরা ১ নং ট্রাফিক মোড়ে চেক পোস্ট বসিয়ে যাত্রীবিহীন অটোরিক্সা ও রিক্সা গুলোকে ফেরত পাঠিয়েছে। সে সাথে অনেক ব্যাক্তি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যানবাহনে দুজন করে বসায় তাদের নামিয়ে দিয়েছে ও বিভিন্ন গন্তব্য স্থানে যাওয়া ব্যাক্তিদের পথরোধ করে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। তারা কি কারনে লকডাউনের মধ্যে শহরে বের হয়েছে তার প্রশ্ন করতে দেখা গেছে।
এ সময় গাইবান্ধা সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান, তদন্ত অফিসার সেরাজুল ইসলাম, ট্রাফিক অফিসার তৌহিদুল ইসলাম সহ পুলিশ সদস্য ও অন্যান্য ট্রাফিক সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি গাইবান্ধা/