দেশব্যাপী মহামারী করনা ভাইরাসের কারনে চলছে লকডাউন। বন্ধ রয়েছে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। লকডাউনের কারনে খুলতে পারছে না তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা স্বাভাবিক ভাবে গন্তব্য স্থানে ছুটতে পারছে না গাইবান্ধা সদর উপজেলা সহ জেলার ৭ উপজেলার নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ যেমন- কৃষক, রিক্সা চালক, ফুটপাত ব্যবসায়ী সহ অনেকে। এতে করে দিন আনা দিন খাউয়া মানুষরা পড়েছে অর্থ সংকটে।
প্রতিবছর এ সময় পরিবারের সদস্যদের মুখে অন্ন জোগাতে সদর উপজেলা সহ গাইবান্ধা জেলা থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হাওর এলাকায় ধান কাটতে যান কৃষকরা। করনায় বসে না থেকে এবারো তারা যাচ্ছে ধান কাটতে।
এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের উজান তেওড়া গ্রামের প্রায় ৫০ জন কৃষক বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম থানার রনবসা গ্রামের উদ্দেশ্যে ৫০ জন কৃষক একটি ট্রাকে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে কাজে যাচ্ছিল। পড়ে বিষয়টি জেলা পুলিশের নজরে পড়লে ট্রাক আটকিয়ে জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম নির্দেশে জেলা পুলিশের উদ্দোগে নান্নু এ্যান্টারপ্রাইজ বাসে বগুড়ার হাওর এলাকায় ৫০জন কৃষককে ধান কাটার জন্য প্রেরন করেন গাইবান্ধা ট্রাফিক ইনচার্জ নূর আলম সিদ্দিক।
সুন্দরগঞ্জ এলাকার বেলকুচির কৃষক হাসান জানান- প্রতি বছর আমরা ধান কাটার জন্য বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার রনবগা গ্রামে যাই। জমির মালিক জাহিদুল আমাদেরকে কল করে নিয়ে যায়। আমরা প্রায় ৫০ জন কৃষক ধান কাটার উদ্দেশ্যে যাচ্ছি। জনপ্রতি আমরা ৫শ টাকা করে পারিশ্রমিক নেই। গতবছর নিয়েছি। আশা করি এবারো তাই পাবো।
করনা সম্পর্কে কথা বললে তিনি জানান- আমাদের চড়ে বিদ্যুৎ নেই। টিভি নেই। তাই আমরা জানিনা করনায় প্রশাসন এত নিয়ম করেছে। গৃহস্থ আমাদের ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে পুলিশ আমাদের বাধা দেয় এবং বাস দেয় যাওয়ার জন্য।
গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম দৈনিক নতুন দিন পত্রিকার প্রতিবেদক কে জানান- ধান কাটার মওসুম শুরু হয়েছে। এ সময় অনেক ধান কাটার শ্রমিক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধান কাটতে যায় নওগা, বগুড়া, মৌলভিবাজার সহ বিভিন্ন স্থানে। গতবারো করনার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদেরকে আমরা বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়েছি। আমরা গতবারের মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদেরকে মাস্ক দিয়ে বাসের মাধ্যমে ধান কাটা এলাকায় পাঠানো হচ্ছে। প্রতিবছর জেলা পুলিশের উদ্দোগে তারা যায়। এবারো যেন যেতে পারে এটা নিশ্চিত করছি। এটি অব্যাহত থাকবে।
বিডি গাইবান্ধা/