গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের সিংড়িয়া গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে কিডনি রোগে আক্রান্ত মেহেদী হাসান মিলন (২২) বাঁচতে চায়। দরিদ্র বাবা সাইদুর রহমান অর্থের অভাবে তার ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছেন না। একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
মোঃ মেহেদী হাসান মিলন ফুলছড়ি ডিগ্রী কলেজের অনার্স বাংলা বিভাগের ছাত্র। পড়াশুনার প্রতি তার আগ্রহ প্রবল। দরিদ্র সাইদুর রহমান কৃষি কাজ করেন। কয়েকমাস আগে মেহেদী হাসানের কিডনি রোগ ধরা পড়েছে। দিন দিন তার শারীরিক সমস্যা জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। মেহেদী হাসান কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় কলেজের শিক্ষকসহ সহপাঠীরা মর্মাহত। দেশে বৃত্তবানরা যদি একটু সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেন তবে এই মেধাবী ছাত্রটি হয়তো আরও কিছুদিন বেঁচে থাকতে পারবে।
সাইদুর রহমান জানান, গত জানুয়ারী মাসের শেষ দিকে মেহেদী হাসান অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তিনি স্থানীয় হাসপাতালের গিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর মেহেদী হাসানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান, মেহেদী হাসানের দুইটি কিডনীই নষ্ট হয়ে গেছে। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে কিডনী প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। মেহেদী হাসান বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোবাশ্বের আলমের তত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কিডনী কেনা ও প্রতিস্থাপনের সামর্থ্য নেই দরিদ্র এ পরিবারটির। তিন মেয়ে সন্তানের পর একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসানের জীবন প্রদীপ বাঁচাতে গর্ভধারিনী মা মছিয়া বেগম নিজের একটি কিডনী দিতে প্রস্তুত আছেন। কিন্তু প্রতিস্থাপনের জন্য ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন। যা দেয়ার সামর্থ্য তাদের নেই। তাই ছেলের জীবন বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে সাহায্যের আকুল আবেদন জানিয়েছে মেহেদী হাসানের অসহায় বাবা-মা।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা বিকাশ-০১৭৩৭৯৪৮৮১৩
তার বোন শাহিনা বেগমের ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট হিসাব নং- ২০৫০৭৭৭০২২১৮২৩৭১৩