সবার ভেতরে সচেতনতাবোধ তৈরি করতে হবে। নিজেদেরকে সচেতন হতে হবে। ৫ এপ্রিল সোমবার ভোর ৬ টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২ টা অবধি সপ্তাহব্যাপী সরকারের দেয়া দ্বিতীয় ধাপের লকডাউন কার্যকরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ, সচেতনতামূলক প্রচারনা করতে লকডাউন প্রথম দিন রাস্তায় নেমে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম হ্যান্ডমাইকে জনগনের উদ্দেশ্যে উপরোক্ত কথাগুলি বলেন।
তিনি আরো বলেন-করনা প্রতিরোধে সরকার যে ২৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছে তা কার্যকর করতে জেলা পুলিশ মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। মানুষজনকে সচেতন করছে। করনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য বিনামূল্যে মাক্স বিতরণ করা সহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। যাতে মানুষ সচেতন হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেগুলো খোলা থাকবে সেগুলো নিশ্চিত করছে। সে সাথে ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনে অপ্রয়োজনে বাহিরে ঘোরাফেরা করতে নিষেধ করেন। বাহিরে বের হলে মাস্ক পরিধান করার কথা বলেন এবং পুলিশকে সহায়তা করার নির্দেশ দেন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বি সার্কেল আবু লাইছ মোঃ ইলিয়াছ জিকু, গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান, ট্রাফিক ইনচার্জ নূর আলম সিদ্দিক, সদর থানা অপারেশন অফিসার সেরাজুল হক, ট্রাফিক সার্জেন্ট মামুন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক সহ ট্রাফিক পুলিশের অনেকে উপস্থিত ছিলেন৷
এর আগে সকালে প্রথমে লকডাউন কার্যকর ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান গাইবান্ধা ট্রাফিক ইনচার্জ নূর আলম সিদ্দিক, সার্জেন্ট মামুন সহ অনেকে। তারা মাস্ক বিহীন ব্যাক্তিদেরকে মাস্ক বিতরণ করেন।
এ সময় শহরে কিছু মটর সাইকেল, রিক্সা ও অটোরিক্সায় গাদাগাদি করে লোকজন বসায় তাদের নামিয়ে দেন এবং রিক্সা ও অটোরিক্সার চাবি খুলে নেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।
বিডি গাইবান্ধা/