গাইবান্ধায় ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে ও আতঙ্কে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি, বিদ্যুতের খুঁটি, দোকানপাটসহ সরকারি স্থাপনা। নষ্ট হয়েছে আমের মুকুল ও আমন ধানের গাছসহ বিভিন্ন ফসল।
নিহতরা হলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ময়না বেগম, পলাশবাড়ীর আবদুল গাফফার মিয়া, জাহানারা বেগম ও ফুলছড়ির শিমুলী আকতার। এছাড়া সাদুল্লাপুরে আবদুস সালাম সর্দার নামে এক ব্যবসায়ী আতঙ্কে মারা গেছেন।
এদিকে, জেলা সদর ছাড়ার বাকি ছয় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অর্ধশতাধিক মানুষ গাছচাপা পড়ে ও স্থাপনার নিচে পড়ে আহত হয়েছেন। এরমধ্যে ত্রিশ জনের বেশি আহত নারী-পুরুষ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে আহত অনেককেই।
বিকেল ৩টা থেকে ঝড় হওয়ার পর জেলাজুড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
হঠাৎ করেই জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া দমকা হাওয়ায় কোথাও কোথাও বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে। নষ্ট হয়েছে আমন ধানসহ বিভিন্ন ফসল।
গাছ চাপা পড়ে সুন্দরগঞ্জ, পলাশবাড়ী ও ফুলছড়ি উপজেলাতে নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সাদুল্লাপুরে আবদুস সালাম সর্দার নামে এক ব্যবসায়ী আতঙ্কে মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া ভেঙে পড়া গাছ অপসারণে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা কাজ করছেন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি জেলা প্রশাসক।