গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর মনোহরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ির ও মসজিদে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ.! রাস্তা বন্ধ করতে বাঁধা দিলে নজরুল ইসলাম,সিরাজুল ইসলাম ও আজিজুল ইসলাম গং-দের বেধড়ক মাইরপিটে শাহানা বেগম ও মিনারা বেগম সহ ৪ জন আহত।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ,উপজেলার ৮নং মনোহরপুর ইউনিয়নের ঘোড়াবন্ধা গ্রাহক মকবুল হোসেন সরকারের পুত্র মোঃ আবদুস সামাদ পরিবারের সাথে প্রতিবেশী মৃত আবদুল আজিজের পুত্র মোঃ নজরুল ইসলাম গং-দের সাথে পারিবারিক ও সামাজিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে মনোমালিন্য চলে আসছিলো। আর এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ মার্চ সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ঘোড়াবান্ধা বাজারের চৌরাস্তা মোড়ে সামাদকে দেখা পাওয়া মাত্রই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নজরুল গং-রা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আর এতে বাঁধা নিষেধ করলে নজরুল গং-রা চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেবে এবং সামাদ ও তার পরিবারকে বসতবাড়ি থেকে বের হতে দেবে না ছাড়াও তাদের যেকোনো জানমালের ক্ষতি করবে। এছাড়া ধুরন্ধর নজরুল গং-রা নিজেরাই কোনো ঘটনা ঘটিয়ে সামাদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে হয়রানি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে একহাত দেখে নেবে বলে শাসিয়ে যায়।
আর এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মসজিদ ও বাড়ির যাতায়াতের রাস্তা নিয়ে সামাদ গং ও নজরুল গং-দের সাথে পুনরায় কথা কাটাকাটি ও মনোমালিন্য শুরু হয়। একপর্যায়ে নজরুল ও আজিজুল গং-রা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই রাস্তা বন্ধ করতে আসলে সামাদ গং-রা এতে বাঁধা নিষেধ করে। আর এসময় বাঁধা দিতে আসা লোকজনদের নজরুল, আজিজুল,সেরাজুল ও রিপন গং-রা বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। মারধরে আহত হয় হয় আবদুস সাত্তারের স্ত্রী শাহানা বেগম (৩৫),আবদুস সামাদের স্ত্রী মিনারা আক্তার মুন্নি (৩৪), আবদুর রহিম বাবুর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৫) ও মকবুল হোসেনের ছেলে বাবুল মিয়া (৩৩)। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত মিনারা,শাহানা ও শরিফুল ইসলামকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ওই রাতেই পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে দেয়।
আর এসব ঘটনার পরও ওই নজরুল পারিবারিক ও সামাজিক তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত হয়ে নজরুল গং-রা মসজিদ ও চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। মসজিদ ও চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার ফলে ১০/১২ টি পরিবার পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। এসব সৃষ্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা।
এব্যাপারে আবদুস সামাদ গত ২৯ মার্চ পলাশবাড়ী থানায় একখানা জিডি (নং ৯৯৭) করেন।
ভুক্তভোগী সহ এলাকার শান্তিপ্রিয় জনগণ ও সচেতন মহ বড় ধরণের দূর্ঘটনা এড়াতে এবং শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।√#