গণমাধ্যমকর্মীদের একত্রিত করায় স্থানীয় সংসদ সদস্যের সফলতায় ইর্ষানিত হয়ে রাজনীতির গ্রুপিং এর মাঝে গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে গ্রুপিং করতে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে নতুন একটি প্রেসক্লাবের সাইন বোর্ড তুললেন উপজেলা আওয়ামীলীগের তিন নেতা। এঘটনায় উপজেলার গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যে কোন সময় ঘটতে পারে ছোট বড় রক্ষক্ষয়ি সংঘর্ষ । প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে আইন শৃংখলাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, ও পেশাজীবী সংগঠনের নেদতৃবৃন্দ।
জানা যায়,বিগত সময়ে উপজেলার গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে বিভক্ত ছিলো গোটা ছয়েক সংগঠন। এসব সংগঠনের অত্যাচারে অতিষ্ট ছিলো গোটা পলাশবাড়ী উপজেলা রাজনৈতিক দল,পেশাজীবী,সামাজিক সংগঠন গুলো ন্যায় স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরাসহ উপজেলার গণমাধ্যমকর্মীরা নিজেরাও পড়তো বিভ্রান্তিতে। দীর্গদিনে জটিলতা কাটিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপির প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ ও নির্দেশণায় গণমাধ্যমকর্মীদের সকল সংগঠন বিলুপ্ত করে একটি সংগঠনে সকল গণমাধ্যমকর্মীদের একত্রিত করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। এ সফলতার পর হতে গোত্র দাহ জ¦লছিলো একটি চক্র তাদের দীর্ঘ দিনের রাজনীতি বন্ধ করার তারা স্থানীয় সংসদ সদস্যের সফলতায় ইর্ষান্তিত হয়ে আরেকটি প্রেসক্লাব গঠনে গভীর ষরযন্ত্র শুরু করে।
এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীরা পরাজিত হওয়ার পর হতে উক্ত একত্রিত গণমাধ্যমকর্মীদের প্রানের সংগঠন পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির মধ্যে যে কোন মুল্যে ভাটল ধরাতে ভাঙ্গনের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর পরাজিত প্রার্থীগণ ও কয়েকজন সাধারন সদস্যদের পদের লোভ লালসায় ফেলিয়ে নতুন একটি প্রেসক্লাব গঠন করেছে। পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের তিন নেতার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে আরেকটি প্রেসক্লাবের সাইন বোর্ড উত্তোলন করা হলো পলাশবাড়ী চৌমাথা মোড়ে পিয়ারী মার্কের্টে দ্বিতীয়তলায় । প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদদাতারা হলেন পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু বকর প্রধান যিনি নিজেও বর্তমান কথিত প্রেসক্লাব পলাশবাড়ীর কার্যনির্বাহী সদস্য,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ শামিকুল ইসলাম সরকার লিপন যিনিও প্রেসক্লাব পলাশবাড়ীর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য , এছাড়াও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলহাজ¦ একে এম মোকসেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ যিনি নিজেও প্রেসক্লাব কার্যনির্বাহী সদস্য হয়েছেন। এই তিন আওয়ামীলীগ নেতাগণ এক প্রকার স্থানীয় দলীয় সংসদ সদস্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নতুন একটি প্রেসক্লাবের সাইন বোড তুলে গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝে উত্তোজনা সৃষ্টি করলেন।
এঘটনায় পলাশবাড়ী উপজেলা জুড়ে যেমন সমালোচনা শুরু হয়েছে তেমনি রাজনৈতিক দলের চেয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের পদ বড় তাও প্রমানিত হলো সে কারণে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি,সম্পাদক,সহ সভাপতি প্রেসক্লাবের সদস্য হয়েছেন। এসব নেতাদের সবখানে বিচারণে ক্ষিপ্ত সচেতন জনতাসহ সর্বস্তরের মানুষ। তারা মনে দেশ ও জাতিকে নিয়ে রাজনীতি বাদ দিয়ে এখন সাংবাদিকদের নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে নেতৃবৃন্দ। গণমাধ্যমকর্মীদের বিভক্ত করতে অপরাজনীতির কঠোর সমালোচনা করে মদদদাতাদের ধিক্কার জানিয়েছেন।
এদিকে পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি রবিউল হোসেন পাতা বলেন,১৯৮২ সাল হতে এ প্রেসক্লাবটি স্থাপিত হয় সেই হতে এ ক্লাবে সদস্য হওয়ার জন্য অনেকেই ধর্ণা দিতো যোগ্যতা না থাকায় অনেককেই নেওয়া হয়নি আবার নানা কারণে অনেককেই নেওয়া হয়। এরপর কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় অপসাংবাদিক মুক্ত প্রেসক্লাব বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিলে যারা গণমাধ্যমের সাথে সম্পৃত নয় তারা নিজেরা অব্যহতি প্রস্তুতি নিলে আমরা তাদে নিজেরাই অব্যহতি প্রদান করি। এরপরে তারা একমাত্র স্থানীয় এমপির সফলতায় ইর্ষানিত হয়ে নতুন একটি প্রেসক্লাবে সাইন বোর্ড তুলে গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝে অস্থিরতা ও উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন। এঘটনা কে কেন্দ্র করে কোন প্রকার অপৃতিকর ঘটনার সৃষ্টি হলে এর দায় তাদের নিতে হবে ।
এবিষয়ে স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি বলেন,পলাশবাড়ীতে একটি প্রেসক্লাব ছিলো থাকবে এর বাহিরে আর কোন প্রেসক্লাব হবে না । তিনি আরো বলেন, খন্দকার মোসতাক মরলেও দলের মধ্যে এর পেত্তারা রয়েছে এরা নিজ স্বার্থ হাসিলে মত্ত। এরা যে কোন সফলতায় ইর্ষানিত হয়ে নানা ভাবে বিভ্রন্তি সৃষ্টি করবে। তাই আমাদের সাবধান থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, প্রেসক্লাব নিয়ে কোন অপ্রত্তিকর ঘটনা ঘটলে এর দায় তাদের নিতে হবে। এরপর তিনি এসময় পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের বাহিরে আরে কোন প্রেসক্লাবের সাইন বোর্ড যাতে না ওঠে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করেন।