গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাটে গোলজার রহমান (৩০) নামের এক হোটেল শ্রমিককে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার দুপুরে ধাপেরহাট ইউনিয়নের হাসানপাড়া গ্রামের কলিম উদ্দিনের বাড়ির উঠানে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন, মটর শ্রমিক নেতা লিয়াকত আলী সাদা। বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামলীগ ধাপেরহাট ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক লাবলু প্রামানিক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক শরিফুল ইসলাম প্রামানিক, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ন.ম আশিকুজ্জামান রিমেল, স্থানীয় মিজানুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম, হামিদুল ইসলাম, রাসেল মিয়া প্রমূখ। বক্তারা বলেন, গত ২৮ মার্চ রাতে ধাপেরহাট ইউনিয়নের হাসানপাড়া গ্রামের (ধাপেরহাট বন্দর) মান্নান মন্ডলের ছেলে ও সাবেক ছাত্রলীগনেতা আব্দুল্যা আল মামুন হাসানপাড়া গ্রামের দুলা মিয়ার ছেলে ও ধাপেরহাটের সুগন্ধা হোটেলের শ্রমিক গোলজার রহমানকে রাস্তা থেকে মটর বাইকে তুলে ধাপেরহাট জামদানী ব্রীজ সংলগ্ন খালে নিয়ে গিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বেধরক মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এ খবর পেয়ে স্বজনরা ঘটনা স্থলে এসে গোলজারকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পীরগঞ্জ ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বক্তারা আরও বলেন, আব্দুল্যা আল মামুন ইতিপূর্বে এমন ঘটনা আরও অনেক ঘটিয়েছে এবং রঞ্জু,রাজ্জাক, হামিদুল,শফিকুলসহ ৫/৭জন নীরিহ অসহায় যুবককে মার পিট করে গুরুত্বর আহত করেছিল। মামুন এলাকার ত্রাস ও প্রভাবশালী হওয়ায় সেইসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে পারেনি কেই। ফের গোলজারকে হত্যার চেষ্টার বিষয়ে এলাকাবাসি ফুসে ওঠে। এই নির্যাতনকারি আল মামুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় বক্তারা। অন্যথায় আবারও বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হবে। এ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রংপুর-বগুড়া মহাসড়কের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মহাসড়কের চৌমাথায় পথ সভায় মিলিত হয়। এসময় এলাকার শতশত নারী-পুরুষ অংশ নেয়। মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে আব্দুল্যা আল মামুনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদ রানা বলেন,মামলা প্রক্রিয়াধীন।