গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সংস্কার কাজ দ্রত সম্পন্ন করার দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে এলাকাবাসী।
ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চত্বরে আজ বৃহস্পতিবার (২৫শে মার্চ) মানববন্ধনে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিকবৃন্দ সহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহন করেন। পরে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু রায়হানকে এবিষয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, উদাখালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শফিকুর রহমান রাজা, ইউপি সদস্য খাজা মিয়া, গজারিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সোলাইমান হোসেন, ফুলছড়ি উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, আওয়ামী লীগ নেতা অশ্বিনী কুমার বর্মন গোলাম মাওলা মন্ডল, শহর বাঁধ রক্ষা ও সংরক্ষন কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. এমএ মজিদ প্রধান, রোস্তম আলী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্থানীয় সাংসদ ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার প্রচেষ্টায় ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী হইতে কুকড়াহাট পর্যন্ত ৩.৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি সংস্কার শুরু হয়। সম্প্রতি কাতলামারী এলাকার আনছার আলী সহ একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী সংস্কার কাজে বাঁধা সৃষ্টি করায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যায়। জনগুরুত্বপূর্ণ এ বাঁধটি দ্রততম সময়ে সংস্কার কাজ শেষ না হলে বিগত ২০১৯ সালের ভয়াবহ বন্যার মতো আসন্ন বন্যায় ফুলছড়ি, সাঘাটা, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা বন্যা কবলিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বক্তারা দ্রæত বাঁধটি সংস্কার কাজ শেষ করে ওইসব এলাকার হাজার হাজার পরিবার, ফসলী জমি, পুকুরের মাছ, গবাদী পশু, রাস্তাঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট সহ জানমাল রক্ষার দাবী জানান।
বাঁধ সংস্কারের দায়িত্বে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং এর স্থানীয় প্রতিনিধি মেহেদী হাসান জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক নদী থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ড্রেজিং এর মাধ্যমে উত্তোলনকৃত বালু ও মাটি দ্বারা বাঁধ সংস্কার করা হচ্ছিল। কিন্তু এ স্থানীয় কিছু ব্যক্তি সুবিধা আদায় করতে না পেরে অযৌক্তিক অভিযোগ তুলে সরকারের এ উন্নয়ন কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত করছে। একারণে সংস্কার কাজ বিলম্ব হচ্ছে।
বিডি গাইবান্ধা /রিপন মিয়া,