দুর্বল ও পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের অবহেলার দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে চলবে না। ভাবুন,এই দুর্বল ও পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থী টি যদি আপনার সন্তান হতো। এমন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে আপনার মন ও মানসিকতার বিকাশ ঘটবে। নইলে বিকশিত হবে না আপনার শিক্ষা,বিকশিত হবে না আপনার জীবন মান।আর আপনার এই সংস্কৃতিগুলো অনুকরণ ও অনুসরণ করবে আপনার আমার কোমলমতি সোনা মনিরা। শিক্ষকতা পেশাকে একটি মহৎ পেশা হিসেবেই নিতে হবে এবং দেখবেন আপনি হয়ে উঠেছেন একজন ভালো শিক্ষার্থীর পিতা এবং একজন ভালো শিক্ষার্থীর মাতা।
মিশ্র যোগ্যতার ক্ষেত্রে একজন পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থী অপরের সহায়তায় কঠিন বিষয় আয়ত্ব করে এবং আত্ম বিশ্বাসী হয়ে উঠে। শিক্ষার্থীর মন থেকে অহেতুক ভয় দূর করা সম্ভব যদি তাদেরকে মানসিক দিক থেকে সহায়তা প্রদান করা যায়। শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদানের ফলে তারা শ্রেণীকক্ষে সক্রিয় হয়ে উঠে।
শিক্ষার্থীরদের সহায়তার ক্ষেত্রে শতীর্থ শিক্ষণ পদ্ধতি অনুসরন করা উচিৎ অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে তাদেরকে সহায়তা করতে হবে যেন তারা কোন বিষয়ে সহজে আয়ত্ব করে এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারে। দ্বিধা বা সংকোচের কারণে একজন শিক্ষার্থী শিক্ষকের কাছে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে না,কিন্তু যখনেই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ স্হাপন হবে তখনেই খুব সহজেই মনের ভাব আদান প্রদান করতে পারবে। তাহলে একজন শিক্ষার্থীর মানসিক বিকাশে সহায়তার জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ শিক্ষার্থীর আয়ত্ব করার ক্ষমতা বাড়াবে এবং তাকে আত্ববিশ্বাসী করে তুলবে। তাই শিক্ষক সমাজের মনে রাখা উচিৎ আপনি শিক্ষার্থীদের অবহেলার দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে হয়তো আপনার সোনামনিরাও অবহেলিত হবে। এটা শুধু পেশা হিসেবে নিবেন না কারণ এটা আপনার নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।
বিডি গাইবান্ধা /উপ-সম্পাদক,মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন সরকার(মিলন)