রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার মিঠিপুর ইউনিয়নের আত্রাই বিল সরকারি( খাসজমি) লিজকৃত কবুলিয়াত নামা মূলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তো গ্রহন করে ভোগদখল করে আসছেন গ্রামের প্রায় ৩৫ জন কৃষক। ৩৫/৪০ বছর ধরে ইরি বোরোধান সহ আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে বলে জানান। তবে খাসজমিতে পুকুর খনন কালে আবাদি জমি ভেকু দিয়ে একের পর এক দখল করছে বলে অভিযোগ করেন সুবিধা ভোগী মানুষ ।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ আমিনুল ইসলাম সাথে কথা হলে তিনি বলেন।
সরকারের খাসকৃত জমিতে জলাশয় সংস্কার মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প বাবদ ১৯ লাখ ৬৭ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বর্তমানে বরাদ্দের কাজ চলছে সারে ৭ বিঘা-২.৪৭ একর।পরবর্তীতে আরও খনন করা হবে খাসজমি। এখানে গরীব মৎস্যজীবি লোকেরা জীবিকা নির্বাহ করবে বলে জানান ।
আত্রাই বিল খনন কালে গত ২৩ ফেব্রয়ারী ২০২১ ইং পীরগঞ্জে আর, ডি মৎস্য প্রকল্পের ঠিকাদার হঠাৎ করে আত্রাই বিল আবাদি জমি যার দাগ নম্বর নুতন ৩০৫৯ ; ৩০৬৩, ৩০২০,৩০২২ সহ একের পর এক পেশিশক্তিতে দখল করে পুকুর খনন করছে বলে মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়।
পরে প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন সুবিধাভোগী মানুষের পক্ষে শাহীন মিয়া, ২৪/০২/২০২১ ইং তারিখে জেলা প্রশাসক রংপুর, পুলিশ সুপার রংপুর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পীরগঞ্জ, সহকারী কমিশনার( ভূমি) পীরগঞ্জ, পীরগঞ্জ থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেন।
পরবর্তীতে বিরোধপূর্ণ জমি- জে,এল নং-২২৯ সিএস খতিয়ান নং-৫১৭ সাবেক দাগ নং-১৭২৬ যাহার বুজরত খতিয়ান নং- ১৭৭২ ডি,পি খতিয়ান নং-১৯২ আর এস খতিয়ান নং- ১৯২ নুতন দাগ নং-৩০৫৭, জমি ১.১৮ একরের মধ্যে ১.০০ একর “
প্রতিপক্ষ, বিভিন্ন কৌশলে দখলের চেষ্টা করলে কোন উপায় না পেয়ে আবেদ আলী আদালতে হাজির হয়ে প্রতিপক্ষ সাইফুল ইসলামসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ( ১ মার্চ ২০২১) অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪ ধারায় / মিছ পিটিশন ২১৮/২১ যাহার স্মারক নং- ২৮৬/১ (২) মামলা সংক্রান্ত জমির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেন।
আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ১৮ মে মধ্যে সংশ্লিষ্ট ULAO তদন্ত প্রতিবেদন নির্দেশ দেন,সেই সাথে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ও,সি কেও নির্দেশ প্রদান করেন।
ভোগদখলকৃত জমি জে,এল নং-২২৯ যাহার বুজরত খতিয়ান নং -১৮৫৮ ডি,পি খতিয়ান নং-১০৩৩ আর,এস খতিয়ান নং-১০৩৩ সাবেক দাগ নং-১৭২৬ নুতন দাগ নং-৩০৫৯,জমি ৩.১০ একরের মধ্যে ১.০০ একর তন্মধ্যে. ৩০ একর। আবারো আরেক ব্যক্তি মোঃ মমদেল হোসেন আদালতে হাজির হয়ে প্রতিপক্ষ সাইফুল ইসলামসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে (১০ মার্চ ২০২১) ১৪৪ ধারায় মিছ পিটিশন নং ১৯৪/২১, স্মারক নং- ৩২৬/১(২) মামলা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেন।
আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ১ জুন মধ্যে সংশ্লিষ্ট ULAO তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য নির্দেশ প্রদান করে আদালত।
আদালতের মিছ পিটিশন ও থানা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। দু-দফা প্রাথমিক ভাবে প্রতিবেদনের দেওয়ার আগেই তা কর্নপাত না করে পুকুর খননে কাজ করছে প্রভাবশালি চক্র। অভিযোগ ভুক্তভোগীদের ।
পরে আবারও আবাদি জমি মৌজা- দুরামিঠিপুর জে,এল নং-২২৯ পুকুর খনন কাজ করলে তারা মিয়া ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বিঙ্ জুডিসিয়াল আদালতে আরও একটি মামলা করে।
বাদীর ছেলে আইয়ুব আলীর অভিযোগ, সরকারি (খাসজমি) লিজকৃত কবুলিয়াতে জমি নিয়ে আদালতে মামলা দারস্থ হয়েছি । জমিগুলো আমাদের দখলে ছিল। কিন্তু তারা পেশীশক্তি দিয়ে পুকুর খনন নামে আবাদি জমি ভেকু দিয়ে দিনের পর দিন খনন করলেও” ঘটনার পর একাধিক বার পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও কোন প্রতিকার পায়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন বাদি ও বিবাদীকে মিমাংসা জন্য থানায় ডেকে কথা বলা হয়েছে।
এদিকে প্রতিপক্ষ সাইফুল ইসলাম সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি ।
স্থানীয়রা বলছে এই জমি নিয়ে মামলা হয়েছে।আবাদি জমি খনন কাজ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজমান। এটাকে কেন্দ্র করে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আদালতের মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।