: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার সুই গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে এ,বি,এম মাহাবুবুর রশিদ ভালো চাকুরির আশায় ঝিনাইদহ জেলার সিও এনজিও কর্তৃক প্রতারনার শিকার হয়েছে। শুক্রবার গাইবান্ধা শহরের হকার্স মার্কেটে সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলেন ভুক্তভোগী মাহাবুবুর ও তার স্ত্রী শাহিনুর বেগম।
চোখের জলে এই সব কথা তুলে ধরে মাহাবুবুর রশিদ বলেন-ফেসবুকে পোষ্ট দেখে ভালো চাকুরির আশায় ২০২২ সালের ৫ ই ডিসেম্বর ঝিনাইদহ সিও এনজিওতে শাখা ব্যবস্থাপক পদে চাকুরিতে যোগদান করেন । যোগদানের ওই দিন বিকালে আমাকে বদলি করে ফরিদপুর সদর শাখায়। দুঃখের বিষয় হল যে, গত তিন মাসে আমার শাখায় যে পরিমান ক্ষুদ্র ঋণ আদায় হওয়ার কথা তার থেকে প্রায় ৯লক্ষ টাকা আদায় কম হয়েছে / বকেয়া পড়েছে। তখন সিও সংস্থার কর্তৃপক্ষ আমাকে উক্ত টাকা আমার বাড়ি থেকে এনে জমা দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। আমি তাদের অতিরিক্ত চাপের কারনে এবং চাকুরি হারানো ভায়ে বাড়ির থেকে একলক্ষ টাকা এনে জমা দিলেও‘ তারা আরো অতিরিক্ত আট লক্ষ টাকা জমা দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে, উক্ত টাকা জমা দিতে না পারায় সিও কর্তৃপক্ষ গত মাসের ২৫ আগষ্ট আমি ফিল্ডে থাকা অবস্থায় সন্ধ্যায় আমাকে কৌশলে সিও ফরিদপুর সদর শাখা কার্যালয় অফিসে ডেকে নেয়। এর পর আমার কাছে থাকা ঋণ আদায় এর নগদ দেড় লক্ষ টাকা ও আমার ব্যবহৃত মোবাইল কেড়ে নিয়ে আমাকে মারধর করে ও হত্যার হুমকি দেখিয়ে মিথ্যা মনগড়া কিছু কথা সাদা কাগজে লিখে নেয় এবং তাদের মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করে। এর পর আমার ব্যাংক একাউন্টের নিজ নামীয় সাতটি ফাকা চেক ও তিনশত টাকার নন জুডিসিয়াল ফাকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়ার মত বেআইনী কাজগুলো করেন সিও সংস্থার পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান, রাজু আহম্মেদ ও সামছুল আলম। পরে আমাকে রাত তিনটায় অফিস থেকে বের করে দেয় । এসময় আমার সাথে থাকা মোটর সাইকেলটি চাইলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়ীর ড্রাইভিং লাইন্সেস সহ অন্যন্য কাগজ পত্র ও এনআইডি কাড কেড়ে নেয় ।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমি ফরিদপুর সদর থানায় গিয়ে আশ্রয় নেই এবং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি। ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পযর্ন্ত পুলিশ আসামীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমি ও আমার পরিবারের লোকজন হতাশায় ও দুশ্চিন্তায় মানবেতর জীবন-যাপন করছি। আসামীরা আমাকে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে হুমকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় আমি সংবাদ সম্মেলনে আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে আসামীদের গ্রেফতার সহ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের দাবী করছি।
বিডি গাইবান্ধা/