: আশ্রয়ন ২ প্রকল্পের আওতায় “ক” শ্রেনী তালিকাভুক্ত গাইবান্ধায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পূর্ণবাসনের লক্ষ্যে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম এর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে শুভ উদ্বোধন করেন।
তিনি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, রংপুরের বদরগঞ্জ, পীরগঞ্জ সহ মোট ২৩ টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা ঘোষনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন- একটি মানুষও যেন অবহেলিত না থাকে সে জন্য আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। দেশের একটি মানুষও যেন গৃহহীন ও ভূমিহীন না থাকে সে জন্য গরীব, অবহেলিত গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে জমি সহ পাকা ঘর প্রদান করা হচ্ছে। পরিবার থেকে যারা বিচ্ছিন্ন রয়েছে তাদেরকেও ঘর দেয়া হবে। মানুষ যেন দ্রব্যমুল্যের কষ্টে না ভুগেন সে জন্য দেশের ১ কোটি মানুষকে চাল, ডাল, তেল স্বল্পমূল্যের কার্ড দেয়া হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদ এর আয়োজনে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভুমিহীন ও গৃহহীন উপকারভোগীদের মাঝে জমির পর্চাসহ কবুলিয়ত ফোল্ডার প্রদান করেন ও বক্তব্য রাখেন- গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শরীফুল ইসলাম।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফুল আলম, সহকারী কমিশনার ভূমি রেজাউল ইসলাম, গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা, মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড এর সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী আকবর মিয়া, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টু, উপকারভোগী সালমা বেগম সহ অনেকে।
এ সময় বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন – সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাকিরুল ইসলাম।
উপকারভোগীরা প্রতিটি ঘরের মালিকানা স্বামী স্ত্রীর ৫০% করে এবং যেখানে উপকারভোগী একজন সেখানে তিনি পূর্ণ ঘরের মালিকানা লাভ করবেন যার ফলে বাংলাদেশের সর্বত্র নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হচ্ছে। একই সাথে উপকারভোগীগণ সুপেয় পানি ও বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছেন। (৪র্থ পর্যায়ে ২য় ধাপে ৫টি উপজেলায় ৯শ ৮০টি ও গোবিন্দগঞ্জ ও সাদুল্লাপুর উপজেলায় জরাজীর্ণ ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে একক গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে ৭৮টিসহ মোট ১০৫৮টি পরিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে পাচ্ছেন জমিসহ পাকা ঘর।
গাইবান্ধা জেলায় ১হাজার ৫৮ মধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৩শ৫৫টি, গোবিন্দগঞ্জে ৪০ টি,সুন্দরগঞ্জে ২শ ১১ টি,সাদুল্যাপুরে ৩৮ টি, ফুলছড়িতে ১শ ৪৩ টি,সাঘাটায় ৯১ টি, পলাশবাড়ীতে ১শ ৮ টি।
” উপকারভোগী বছিরন অশ্রুসিক্ত চোখে বলেন-আমার স্বামী নাই। গাইবান্ধা শহরের ডেভিড কোম্পানি পাড়ায় মানুষের বাসায় ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকি। বাসা ভাড়া না দিতে পেরে বাড়ির মালিক আমার ছেলের মাথা ফাটিয়ে দিছে। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হামাক ঘর দিয়েছেন। হামি খুব খুশী। আমি এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করছি, তিনি যেন সুস্থ ও ভাল থাকেন।
” উপকারভাগী আলামিন” বলেন- তার নিজস্ব কোনো ঘর বাড়ি নাই। তিনি তার স্ত্রী পোশাখী বেগম, দুই সন্তান সহ তার জেঠার বাসায় থাকেন। এখন উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে ভাল লাগছে।
বিডি গাইবান্ধা/