: মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নেআ শ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে আশ্রয়ণ ২ প্রকল্পের মাধ্যমে সেমিপাকা একক গৃহ নির্মাণের কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে।
গাইবান্ধা সহ সমগ্র দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে মুজিববর্ষে ২ শতক জমিসহ সেমিপাকা ঘর বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে সোমবার বিকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব জাহিদ হাসান সিদ্দিকী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফুল আলম, ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান, রাজস্ব শাখার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইফতেকার রহমান সহ সাংবাদিকবৃন্দ।
এতে বলা হয়- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে সমাজের গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষেরা আগামী ৯ আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখে ৪র্থ পর্যায়ের (২য় ধাপে গাইবান্ধা জেলার ৭ উপজেলায় মোট ১ হাজার ৫৮ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার সদস্যকে জমিসহ পাকা ঘর প্রদান করা হবে। একইদিনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পলাশবাড়ী উপজেলাকে ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা ঘোষণা করবেন।
জমির পর্চাসহ প্রতিটি ঘরের মালিকানা স্বামী স্ত্রীর ৫০% করে এবং যেখানে উপকারভোগী একজন সেখানে তিনি পূর্ণ ঘরের মালিকানা লাভ করবেন যার ফলে বাংলাদেশের সর্বত্র নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হচ্ছে। একই সাথে উপকারভোগীগণ সুপেয় পানি ও বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছেন।
বিডি গাইবান্ধা/
এরই ধারাবাহিকতায় এ পর্যায়ে (৪র্থ পর্যায়ে ২য় ধাপ) ৫টি উপজেলায় ৯শ ৮০টি ও গোবিন্দগঞ্জ ও সাদুল্লাপুর উপজেলায় জরাজীর্ণ ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে একক গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে ৭৮টিসহ মোট ১০৫৮টি পরিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে পাচ্ছেন জমিসহ পাকা ঘর। একইদিনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পলাশবাড়ী উপজেলাকে ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা ঘোষণা করবেন। ১হাজার ৫৮ মধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৩শ৫৫টি, গোবিন্দগঞ্জে ৪০ টি,সুন্দরগঞ্জে ২শ ১১ টি,সাদুল্যাপুরে ৩৮ টি, ফুলছড়িতে ১শ ৪৩ টি,সাঘাটায় ৯১ টি, পলাশবাড়ীতে ১শ ৮ টি।