: গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন এর জীবনপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান বকুল মিয়ার কন্যা মোছা: আমেনা আক্তার বিথী গত ২রা জুলাই ২০২৩ ইং তারিখ সকালে প্রাইভেটে যাওয়ার সময় প্রাইভেট শিক্ষক উকিল উদ্দিন ও তার বোন রাহেনা বেগম ও রাহেনার স্বামী আব্দুল মজিদ কর্তৃক অপহরন করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে বেড়িয়ে জোড় পূর্বক ধর্ষন চেষ্টার পাশাপাশি বিবাদী কর্তৃক বাদীকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে গাইবান্ধা শহরের সমবায় মার্কেটের ২য় তলায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন অপহরণকৃত বিথীর বাবা বকুল মিয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাদীর ভাবি রুনা বেগম,ভাই মনছুর রহমান, সজিব ইসলাম, অপহরনকৃত শিক্ষার্থী মোছা: আমেনা আক্তার বিথী।
সংবাদ সম্মেলনে বকুল মিয়া (৩৫) উপরোক্ত ঘটনা সমন্ধে বলেন- আমার জ্যাঠা সাইদুর রহমান একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা। আমি মুক্তিযোদ্ধা ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। বিবাদী উকিল উদ্দিন গং আমার স্কুল মেয়ে আমেনা আক্তার বিথী( ১২)কে অপহরণ করে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এ বিষয়ে তিনি গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ তদন্ত করে চলতি সালের গত ৬জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ( সংশোধনী০৩ এর ৭/৯ (৪) ( খ)/৩০ ধারায় মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং- ৮। মামলার প্রেক্ষিতে র্যাব সদস্য বিবাদী উকিল উদ্দিনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করেন।
অন্যদিকে অন্যান্য বিবাদীগন পলাতক থাকায় তারা অতি দ্রুত মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য কোর্ট ও থানায় হাজিরা না দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে এবং মামলার গুরুত্বপূর্ণ স্বাক্ষীদেরকেও তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বাক্ষী দেয়া হতে বিরত থাকার পায়তারা চালান। এতে করে মামলা কার্যক্রমে ব্যহত হচ্ছে। তিনি গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের শরন্নাপন্ন হলে থানা পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পিতা বকুল মিয়া সুষ্ঠ বিচার দাবি করে পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিডি গাইবান্ধা/